পিরোজপুর সদর

পিরোজপুরে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল! :::আত্মহত্যা নাকি হত্যা?

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পিরোজপুর শহরের সিআই পাড়ার চানমারি এলাকায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ’র (১১) ঝুলন্ত লাশ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ১৬ আগষ্ট রাত নয়টার দিকে বাথরুমের কাপড় রাখার পাইপে অর্ধঝুলন্ত (মেঝেতে হাটু ভাজ অবস্থায়) লাশ পাওয়া যায়।
আব্দুল্লাহ স্থানীয় কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। আব্দুল্লাহর বাবা সৌদি আরবের থাকায় মা নিপা মোনালিসার সঙ্গে চানমারি এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতো।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে আব্দুল্লাহ চটপটে এবং বুদ্ধিদীপ্ত ছেলে ছিলো। সবাই তাকে আদর করতো। তাকে মৃত অবস্থায় যেভাবে পাওয়া গেছে তাতে আত্মহত্যা বলে মনে হয় নাই। কিন্তু তার মা এবং তার বন্ধু-বান্ধবরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের তীব্র চেষ্টা চালায়।
পুলিশের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে না হওয়ায় ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়। তাছাড়া আব্দুল্লাহ’র সৌদিপ্রবাসী বাবা সবুজ খান হত্যা নাকি আত্মহত্যা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ময়নাতদন্তের জোর দাবি করেন। তবে মরদেহ দাফনের পর মৃত্যু নিয়ে নানা গুনজন শোনা যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রতিবেশী এ প্রতিবেদককে বলেন, নিপার এক বন্ধুর রাত বিরাতে ওই বাসায় যাতায়ত ছিলো। তারা দুই তিনজন বাসার বাইরে পাহারা থাকতো। প্রভাবশালী হওয়ায় নাম বলতে পারছি না। তবে নিপার মোবাইল ফোনের কল লিষ্ট চেক করলেই পুলিশ বিষয়টি জানতে পারবে। এলাকাবাসী এ নির্মম মৃত্যুর রহস্য জানতে চায়। সকলের চোখ রয়েছে ময়নাতদন্ত রিপোর্টের দিকে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। আব্দুল্লাহর মা নিপার কয়েকজন বন্ধু বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আঃ জাঃ মোঃ মাসুদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি একটু রহস্যজনক মনে হওয়ায় শিশুটির ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলেই বুঝা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। এ ব্যপারে থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। মামলা নং ২৬২১।

Comment here