নেছারাবাদ/স্বরূপকাঠি

স্বরূপকাঠির যুবলীগ নেতা মামুনের হত্যাকারীরা রেহাই পাবেনা ….মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মৎস্য ও প্রানীসম্পদ মন্ত্রী এ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, এটি একটি হত্যাকান্ড, কোনভাবেই আত্মহত্যা নয়। বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি আরও বলেন, মামুনকে আমার কাছে মনে হয়েছে একটা স্পষ্টবাদী চরিত্রের মানুষ। ও যেটা বুঝতো সাহসের সঙ্গে সেটা বলতো এবং করতো।
মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, স্বরূপকাঠিতে যুবলীগ নেতা ও ঔষধ ব্যবসায়ী মো. মামুন মিয়ার হত্যাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। একই সাথে স্বরূপকাঠিতে আর যাতে কোন হত্যাকান্ড ঘটতে না পারে সেদিকে কঠোর দৃষ্টি দেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলাবাহীনির পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদেও দৃস্টি রাখার আহ্বান জানান।
শনিবার সকালে স্বরূপকাঠি কলেজিয়েট একাডেমীর মাঠে অনুষ্ঠিত উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত সম্প্রতি মৃত্যুবরন করা ৫ জন দলীয় নেতার স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, দলের মধ্যে বেইমান খুনি মোস্তাকের মত লোকজনের আনাগোনা শুরু হয়েছে। এরা দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির পায়তারা চালাচ্ছে, এদের ব্যাপারে সতর্ক হয়ে সকল নেতাকর্মিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীরা যত চেষ্টাই করুক না কেন তারা আওয়ামীলীগের কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। কারন তারা জানেনা ১৯৭৫ এর আওয়ামীলীগ আর এখনকার আওয়ামীলীগ এক নয়। এখনকার আওয়ামীলীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক সচেতন এবং শক্তিশালী। যারা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মিদের কোন ধরনের ক্ষতি বা নির্যাতন করবে তাদেরকে কঠোরভাবে দমন করা হবে। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি অধ্যক্ষ মো. শাহ আলম।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মো. মহিউদ্দিন, অধ্যক্ষ মো. বেলায়েত হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম মুইদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম সিকদার, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সাইফুদ্দিন তৈমুর, পৌর আওয়ামীলীগের সম্পাদক মো. ফারুক হোসেন।
বক্তব্য শেষে সম্প্রতি সময়ে মৃত্যুবরনকারী আওয়ামীলীগের নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শহিদুল্লাহ মিয়া, সাবেক সুটিয়াকাঠি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গাউস মিয়া তালুকদার, দৈহারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. বেলায়েত হোসেন, উপজেলা যুবলীগ নেতা মো. মামুন মিয়া ও ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল হাসান নকি সহ নিহত আওয়ামীলীগের নেতাকর্মিদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপজেলার আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মিরা সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়। পরে মন্ত্রী নিহত যুবলীগ নেতা মামুনের বাড়িতে গিয়ে তার কবর জিয়ারত ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগীতার আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার ঝুলন্ত অবস্থায় মামুনের লাশ পাওয়া।

Comment here