মঠবাড়িয়া

মঠবাড়িয়ায় স্বামী-শ্বশুর মিলে গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে স্বামী-শ্বশুর মিলে এক গৃহবধূকে বসত ঘরের পাশের একটি গাছে বেঁধে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে নির্যাতন করা ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়নের পূর্ব সেনের টিকিকাটা গ্রামের বিদ্যুৎ মিস্ত্রি বেল্লাল মল্লিক তার স্ত্রীকে গত সোমবার দুপুরে প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে পিছ মোরা করে গাছের সঙ্গে বেঁধে পেটায়। এঘটনা স্থানীয়ভাবে জানাজানি না হলেও প্রতিবেশী এক কিশোর এ দৃশ্য মোবাইলে গোপনে ধারণ করে। বুধবার ওই যুবক স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিকদের মোবাইলের ম্যাসেঞ্জারে ছড়িয়ে দেয়। পরে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতন ঘটনার সত্যতা পায়।
বুধবার সরেজমিনে গেলে নির্যাতিত গৃহবধূ আমেনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, চার বছর আগে চট্টগ্রামে গার্মেন্টসে চাকরি করার সময় পূর্ব সেনের টিকিকাটা গ্রামের সুলতান মল্লিকের ছেলে বিদ্যুৎ মিস্ত্রি বেল্লাল মল্লিকের সাথে প্রেমের সম্পর্কের পরে বিয়ে হয়। বিয়ের পর ওই গৃহবধূ জানতে পারে ইতিপূর্বে তার স্বামী আর দুটি বিয়ে করে। এ নিয়ে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। গত সোমবার দুপুরে রান্না ঘরে বৃষ্টি জল গড়ানোকে কেন্দ্র করে শ্বশুর ও শাশুড়ির গৃহবধূর সাথে কথার কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে শ্বশুর ও শাশুড়ি মিলে ওই গৃহবধূর স্বামীকে ক্ষেপিয়ে তোলে। পরে বেল্লাল মল্লিক তার স্ত্রীকে মারধরের এক পর্যায় বৃষ্টির মধ্যে গাছের সঙ্গে বেঁধে পেটায়।
নির্যাতিত গৃহবধূ আমেনা বেগম অভিযোগ করেন, তার শ্বশুরও তাকে নির্দয়ভাবে পেটায় ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে সেখান থেকে তার ছোট জা উদ্ধার করে। স্থানীয় এক যুবক নাম না বলার শর্তে জানান, ওই গৃহবধূকে প্রায়ই তার স্বামী বেল্লাল মল্লিক এভাবে নির্যাতন করে আসছে।
এদিকে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বশুর গা ঢাকা দেয়। তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল ইসলাম বাদল বলেন, এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ জানায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comment here