বিশেষ প্রতিবেদন

উন্নয়নের কর্মজজ্ঞে এগিয়ে যাচ্ছে পিরোজপুরঃ স্বপ্নযাত্রার রুপকার শ ম রেজাউল করিম

বিশেষ প্রতিবেদকঃ
অবহেলিত পিরোজপুর ১ আসনের (পিরোজপুর সদর-নাজিরপুর-নেছারাবাদ) প্রতন্ত অঞ্চলের বিগত সরকারের আমলে তেমন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। তবে গণপ্রজাতন্তী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিমকে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী পরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী করার পর অত্র এলাকায় শুরু হয় উন্নয়নের কর্মজজ্ঞ। শ ম রেজাউল করিম দায়িত্ব নিয়ে ৪০ বছরের অবহেলিত পিরোজপুর-১ আসনে উন্নয়নের মেগা প্রকপ্ল হাতে নিয়ে উন্নয়নের কাজের শুরু করেন একর পর এক। এলাকাবাসি জানায়,বর্তমান সরকারের মৎস ও প্রণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ও স্থনীয় সাংসদ জনাব শ ম রেজাউল করিম মহোদয় এর একান্ত প্রচেষ্টায় তিন উপজেলা ও দুই পৌরসভা সমন্বয়ে গঠিত পিরোজপুর-১ নির্বাচনী এলাকায় সাম্প্রতিককালে অভাবনীয় উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। যা, অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় নজিরবিহীন।

সরোজিমনে দেখা গেছে, অবহেলিত প্রতন্ত অঞ্চলের রাস্তা, জনপদ, কাচা রাস্তা পাকা করন। লোহার পুল, ব্রীজ সাইক্লোন সেল্টার, নতুন স্কুল ভবন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক বৈঠকে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবী রাখেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী পিরোজপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ওই মিটিংয়ে অনুমোদন করেন।, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত হাউজিং। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কাজ চলমান রয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুরাল। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন খাল খনন, কাচা রাস্তা পাকা করন। লোহার পুল বীজ্র, কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নতুন ভবনের অনুমোদন টেন্ডারের প্রক্রিয়া দিন। স্বরুপকাঠি ইন্দেরহাট সন্দ্যানদীতে ফেরী, নাজিরপুর নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) কালিগঙ্গা নদীতে ফেরী চালু করেছেন। স্বরুপকাঠি হয়ে কলারদোয়ানিয়া, মালিখালী টুঙ্গিপাড়ার সাথে সড়কের ডিজাইনের কাজ চলছে। পিরোজপুর নাজিরপুর গোপালগঞ্জ মহা সড়কের কাপিটিংয়ের কাজ চলছে।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন মিয়া জানান নাজিরপুর উপজেলায় ৩ শত পঞ্চাশ কোটি টাকার কাজ ১ ম ধাপে ১০০ কোটি টাকার কাজ চলছে। ৭০ ভাগ কাজ এগিয়ে গেছে, মেগা প্রকপ্ল কাজ শেষ হলে দৃশ্যমান হবে নাজিরপুর।
পিরোজপুর-১ আসন (পিরোজপুর সদর-নেছারাবাদ ও নাজিরপুর) এর সাম্প্রতিক উন্নয়ন চিত্রঃ

১. পিরোজপুরের বহুল আকাঙ্খিত “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর” বরাদ্দ।
২. পিরোজপুরে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দ।
৩. পিরোজপুর বিসিক শিল্প নগরী অনুমোদন।
৪. পিরোজপুর স্যাটেলাইট হাউজিং (সরকারী হাউজিং এষ্টেট) প্রতিষ্ঠা।
৫. পিরোজপুরে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট বরাদ্দ ও কার্যক্রম শুরু।
৬. পিরোজপুরে টেক্সটাইল টেকনোলজী ইন্সটিটিউট বরাদ্দ।
৭. নেছারাবাদ ও নাজিরপুর উপজেলায় সরকারী কারীগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন।
৮. নাজিরপুর ও নেছারাবাদ উপজেলায় যুব সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন।
৯. নেছারাবাদ উপজেলা সদরে আধুনিক ডাক বাংলো স্থাপন।

১০. নাজিরপুর উপজেলা সদরে অডিটোরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস কমিউনিটি সেন্টার স্থাপন।
১১. নাজিরপুর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের নতুন ভবন বরাদ্দ ও টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন।
১২. নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের নতুন ভবন বরাদ্দ ও টেন্ডার প্রক্রিয়া চলমান।
১৩. তিন উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স স্থাপন।
১৪. পিরোজপুর সদরে পাসপোর্ট অফিস ভবন (টেন্ডার সম্পন্ন)।
১৫. পিরোজপুরে বিদ্যুতের সাব-ষ্টেশন স্থাপন।

১৬. ইন্দেরহাট-স্বরুপকাঠির সন্ধ্যা নদীতে ফেরী স্থাপন।
১৭. নাজিরপুরের শ্রীরামকাঠি-ভরতকাঠিতে বেলুয়া নদীতে ফেরী স্থাপন।
১৮. পিরোজপুরে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্ট বহুতল ভবন নির্মানাধীন।
১৯. পিরোজপুরে তিন উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর আধুনিক ম্যুরাল স্থাপন।
২০. পিরোজপুর জেলা সদরের প্রান্তে সীমানা গেইট স্থাপন (প্রক্রিয়াধীন)।
২১. মাটিভাঙ্গায় পরিত্যাক্ত সরকারী ডাক বাংলো পুনঃনির্মাণ।

২২. কচা নদীতে কলাখালী এলাকায় ব্রীজ (নির্মানাধীন)।
২৩. স্বরুপকাঠি-ইন্দেরহাট ও নাজিরপুর ৩ জনপদে বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা সংযুক্ত করার জন্য বৃহৎ ব্রীজ ও চার লেন বিশিষ্ট রাস্তা নির্মাণের প্রাথমিক সমীক্ষা চুড়ান্ত। অপরাপর নির্মাণ প্রক্রিয়া চলমান।
২৪. পিরোজপুর পুরাতন সার্কিট হাউজের স্থলে নতুন সার্কিট হাউজ (প্রক্রিয়াধীন)।
২৫. যোগাযোগ ব্যবস্থায় চরম অনুন্নত নাজিরপুর ও নেছারাবাদ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাপকভাবে রাস্তার সংস্কার, নতুন রাস্তা নির্মাণ।
২৬. সড়ক ও জনপথ বিভাগের যে সকল রাস্তা সংস্কার প্রকল্প দেখিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে বিল তুলে নেয়া হয়, ঐ সকল রাস্তায় চলাচল অযোগ্য অবস্থা হয়ে দাঁড়ায়। অধিকাংশ রাস্তায় নতুন করে সংস্কার করানো। উল্লেখযোগ্য পিরোজপুর-চলিশা ভায়া শ্রীরামকাঠি রাস্তা। নাজিরপুর-শ্রীরামকাঠি রাস্তা। সাচিয়া বাজার- বৈঠাকাঠা ভায়া গাওখালী। চাদকাঠী ভায়া অন্বেশা- কলারদোয়ানিয়া বাজার। শ্রীরামকাঠি গ্রোথ সেন্টার- গজালিয়া। শিকদার মল্লিক প্রধান সড়ক-কচুয়া।
নেছারাবাদ উপজেলার প্রত্যন্ত প্রায় সকল অঞ্চলে রাস্তার কাজ কিছু সমাপ্ত কিছু চলমান।

২৭. বুলবুল ও আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থা রাস্তার নির্মাণ কাজের একনেক কর্তৃক অনুমোদন হওয়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ থেকে নির্মাণ প্রক্রিয়া চলমান।
২৮. ৩০টির উর্ধ্বে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় নতুন ভবন, উর্দ্ধমুখী ভবন নির্মাণ, কিছু সম্পন্ন, কিছু চলমান।
২৯. প্রায় সকল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, অধিকাংশ বিদ্যালয়ের মাঠ উন্নয়ন।
৩০. নির্বাচনী এলাকার প্রায় এক চতুর্থাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওয়াশ ব্লক নির্মাণ, কিছু সম্পন্ন, কিছু প্রক্রিয়াধীণ।
৩১. বিশুদ্ধ পানি ও জলের সুব্যবস্থার জন্য তিন উপজেলায় ৬ শতাধিক গভীর নলকুল স্থাপন। আরো প্রায় ৩ শতাধিক নলকুল স্থাপন পক্রিয়াধীন।
৩২. যে সকল অঞ্চলে গভীর নলকুপ স্থাপন সম্ভব নয়, সে সকল স্থানে বৃষ্টির পানি ধারণ ও অন্যান্য উৎসের পানি এনে বিশুদ্ধ করণের মধ্য দিয়ে সরবরাহ করার ২৬ টি প্রকল্প স্থাপন।

৩৩. বাজারঘাট উন্নয়নে সরকারী টলশেড (চারতলা ভবন ভিত্তি সহ) ১৮টি ভবন নির্মাণ কার্য চলমান।
৩৪. পিরোজপুর বাসষ্ট্যান্ড থেকে চাদা আদায় বন্ধ করে শান্তিপূর্ন ও সহনীয় পরিবেশ ফিরিয়ে আনা।
৩৫. পিরোজপুর শহরের কৃষ্ণচুড়া মোড়, ধুপপাশা মোড়, সিও অফিস মোড়, পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড মোড়, পাল পাড়া সংযোগ মোড়, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ষ্ট্যান্ড, বলেশ্বর ব্রীজ ষ্ট্যান্ড, বেকুটিয়া ফেরীঘাট ষ্ট্যান্ড থেকে চাঁদা বন্ধ করা হয়েছে।
৩৬. পিরোজপুর টাউন ক্লাব নিকটবর্তী এলাকায় (আবাহনী সংলগ্ন) ক্যাসিনো, পিরোজপুর কাচা বাজার সংলগ্ন দোতলার ক্যাসিনো বন্ধ করা হয়েছে।
৩৭. প্রাইভেট রেন্ট-এ কার-এ চলমান মাইক্রো ও প্রাইভেট কারের নিকট থেকে নিয়মিত চাদা আদায় করা হতো, যা বন্ধ করা হয়েছে।
৩৮. পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পরিবহণে আসা খাম ও অন্যান্য সামগ্রী উঠা নামার ক্ষেত্রে অবৈধভাবে চাঁদা দিতে হতো, যা বন্ধ করা হয়েছে।

৩৯. বেকুটিয়া চায়না ব্রীজ নির্মাণ কাজে ঠিকাদারদের আনা নেওয়া মালামালের উপর, বালুর উপর অঘোষিতভাবে বেআইনী চাঁদা নেয়া হতো বিপুল পরিমানে, যা বন্ধ করা হয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে একজন চীনা নাগরিকের নিকট থেকে টাকা চিনতাই করতে গিয়ে তাতে মেরে ফেলা হয়। স্বল্প সময়ের মধ্যে খুনীকে গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করা হয়।
৪০. পিরোজপুর সরকারী বালিকা বিদ্যালয়, সরকারী বালিকা মহা বিদ্যালয়, আফতাব উদ্দিন কলেজ সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে ক্যাডার পরিবেষ্টিত মহড়া দিয়ে ইভটিজিং করায় অনেক অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে অতীতে। প্রশাসনের সহায়তায় ইভটিজিং ও ক্যাডার মহড়া সম্পুর্নরূপে বন্ধ করা হয়েছে।
৪১. মাদকের অবাধ ব্যবহার, বিক্রয় ও চালানের স্বর্গে পরিণত হয়েছিল এই জনপদ। প্রশাসনের সহায়তায় স্থানীয় সংসদের কঠোর অবস্থানের কারণে অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিদেরও বিপুল পরিমাণ মাদক সহ গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনার ফলে নিয়ন্ত্রিত হয়ে এসেছে মাদকের ভয়াল ছোবল।
৪২. শহরে দিন রাত, এমনকি গভীর রাত পযন্ত মটর সাইকেলে উশৃঙ্খল ক্যাডারদের মহড়ায় অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল এই জনপদ। মন্ত্রী মহোদয়ের কঠোর অবস্থানের কারণে ক্যাডারদের মহড়া মুক্ত হয়েছে পিরোজপুর শহর ও নেছারাবাদ উপজেলা।

৪৩. স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী কার্যালয়, সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলীর কার্যালয়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর কার্যালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়, শিক্ষা প্রকৌশল কার্যালয়, গণপূর্ত প্রকৌশল কার্যালয় সহ উন্নয়ন কাজ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে ছিল টেন্ডার সিন্ডিকেট। সেই পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়ে সকলের জন্য ঠিকাদারী কাজ পাবার প্রতিযোগিতা উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। মন্ত্রী মহোদয় নিজে ঠিকাদারী করেন না, ঠিকাদারী কাজের এক টাকাও কমিশন গ্রহণ করেন না। বরং উন্নয়ন কাজ সরেজমিনে তদারক কওর গুনগত মান নিশ্চিত করে বিল প্রদানের পরামর্শ দেন প্রকৌশলীদের।

৪৪. মন্ত্রী মহোদয়ের কঠোর মনোভাব ও সততার কারণে,স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসা সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে আর্থিক লেনদেনসহ সকল প্রকার নিয়োগ বানিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। অতীতে সাবেক সাংসদকে লক্ষ লক্ষ টাকা না দিয়ে দপ্তরী, পিয়ন, নাইটগার্ড থেকে শুরু করে কোন নিয়োগ করা যেতো না। এমনকি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টাকার বিনিময়ে পরিচালনা কমিটি গঠন করা হতো। যোগ্য ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে অশিক্ষিত ও টাকা প্রদানে সক্ষম ব্যক্তিরাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটিতে নিয়োগ পেতো। এর ফলে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান চরমভাবে অবনতির দিকে যায়।
৪৫. প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ, পুলিশে নিয়োগ, প্রশাসনের বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ সহ সকল প্রকার নিয়োগে আর্থিক লেনদেন বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে মন্ত্রী মহোদয়ের সততা ও দৃঢ়তার কারণে। ফিরে এসেছে স্বস্তি ও নিয়ম শৃঙ্খলা।

স্বাধীনতার পর থেকে পিরোজপুর জেলায় অনেকে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ছিলেন যারা কখনও বিশ্ববিদ্যালয়, অর্থনৈতিক অঞ্চল, টেক্সটাইল কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন ও স্বরুপকাঠিতে সন্ধ্যা নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণের কথা কখনও চিন্তা করেননি।
যা এখন বাস্তবতা।

Comment here