নাজিরপুর

নাজিরপুরে প্রেমিকের সাথে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী

নাজিরপুর প্রতিনিধিঃ
প্রেমিকের সাথে ঘুরতে গিয়ে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি এ ঘটনার সময় ওই কলেজছাত্রী, তার প্রেমিক ও প্রেমিকের এক বন্ধুকে আটক রেখে মুক্তিপণ দাবি করে বখাটেরা। বৃহস্পতিবার সংবাদ পেয়ে ঝালকাঠীর কাটালিয়া উপজেলার পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের মাঝেরপুল এলাকার একটি বাসা থেকে ওই ছাত্রীসহ অন্যদের উদ্ধার করে পুলিশ। একই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত দুই নারীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নির্যাতনের শিকার ওই কলেজছাত্রী বাদী হয়ে রাতেই ১০ জনকে আসামি করে কাঠাঁলিয়া থানায় একটি মামলা করেন।
নির্যাতনের শিকার কলেজছাত্রীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই কলেজ ছাত্রীর সাথে ফেসবুকে পরিচয় ও প্রেমের সর্ম্পক হয় পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার রিমন হাওলাদার তানভীরের সাথে। গত বৃহস্পতিবার রিমন তার বন্ধু রায়হানকে নিয়ে নাজিরপুরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসে। প্রথম দেখার দিনই মোটর সাইকেলে কলেজছাত্রীকে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নিয়ে যাচ্ছিলেন তানভীর ও তার বন্ধু রায়হান।
পথে কাঁঠালিয়া উপজেলার পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের মাঝেরপুল এলাকায় বখাটে জনি, রিপন জমাদ্দার, আফজাল ও রাকিবসহ কয়েকজন যুবক তানভীর, তার প্রেমিকা ওই কলেজছাত্রী এবং বন্ধুকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। পরে ওই ছাত্রীকে পাশের বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে তারা।
এরপর তিনজনকে স্থানীয় হোসনেয়ারা বেগমের ঘরে তিনদিন ধরে আটকে রেখে অভিভাবকদের কাছে ৫০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তানভীরের অভিভাবক বৃহস্পতিবার রাতে মুক্তিপণের ৩০ হাজার টাকা বখাটেদের হাতে তুলে দিতে যান। এ সময় স্থানীয় জনতার সহায়তায় বখাটে রিপন জমাদ্দারকে আটক করে পুলিশ। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী হোসনেয়ারা বেগম, তার মেয়ে, বখাটে আক্কাস, বেল্লাল ও রাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় বলেন, কলেজছাত্রী, তার প্রেমিক তানভীর ও বন্ধু রায়হানকে উদ্ধারসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে তারা। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কলেজছাত্রীকে ঝালকাঠি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

Comment here