নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পিরোজপুর বিআরটিএ অফিসের মাধ্যমে ভুয়া লাইসেন্স প্রদানের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের সন্ধান পাওয়া গেছে। গত আড়াই মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানের তিন শতাধিক ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের ঘটনা পিরোজপুরের গোয়েন্দা পুলিশ উদঘাটন করেছে। এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য পিরোজপুর বিআরটিএ অফিসের দালাল পিরোজপুর শহরতলীর বাসিন্দা মৃত মফিজ উদ্দিন আকনের ছেলে মারুফ আকনকে (৩৬) গ্রেফতার করার পর এ তথ্য জানা গেছে। পুলিশ তাকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন জানান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মহেশখালী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, টাঙ্গাইল, শেরপুর, সাভারসহ বৃহত্তর ঢাকার তিন শতাধিক ব্যক্তিকে গত আড়াই মাসে বিআরটিএ’র পিরোজপুর অফিস থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হয়েছে কোন কাগজপত্র ছাড়াই। সম্প্রতি পিরোজপুর বিআরটিএ অফিসে ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন বসানোর পর এই প্রতিষ্ঠানের ঢাকা, বরিশাল ও পিরোজপুরে কর্মরত কতিপয় ব্যক্তি এ ভুয়া লাইসেন্স প্রদানের একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে। এ সিন্ডিকেটে শুধু এই প্রতিষ্ঠান নয় লাইসেন্স প্রাপ্ত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় শনাক্ত ও তদন্তকারী আরো দু’একটি সরকারি সংস্থার কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজসের তথ্যও গোয়েন্দা পুলিশের হাতে রয়েছে বলে জানা যায়।
সুত্র জানায়, এই ভুয়া লাইসেন্স করতে সিন্ডিকেট সদস্যরা জনপ্রতি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। এ অপকর্মের সাথে যুক্ত সিন্ডিকেট সদস্যদের বিষয়ে পুলিশ ইতিমধ্যে ব্যাপক তদন্ত শুরু করেছে। এর আগে বিআরটিএ পিরোজপুর অফিসের মাধ্যমে জেলার বাইরে বিশেষত বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও বৃহত্তর ঢাকা থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে আসা ৩০ থেকে ৩২ জন ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পরে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে অনুসন্ধান শুরু হলে পিরোজপুরে স্থাপিত পুলিশের অভিযোগ বাক্সে স্থানীয় সংক্ষুব্ধ জনৈক ব্যক্তির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে দালাল মারুফ আকনকে বৃহস্পতিবার গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করলে ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারে।
এদিকে, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে পিরোজপুর বিআরটিএ অফিসের বেল্লাল হোসেন নামে এক কর্মকর্তাসহ আরও দু’একজন কর্মচারী’র যোগসাজসে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরী করে দেয়া হতো।
Comment here