ইতিহাস ও ঐতিহ্যবিশেষ প্রতিবেদন

’৫৬ সালে নির্বাচনি প্রচারের জন্য ১৪ দিন স্বরূপকাঠিতে ছিলেন বঙ্গবন্ধু

আরিফ মোস্তফাঃ

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত ঘর ১৯৫৬ সালে তৎকালীণ যুক্তফ্রন্ট সরকারের প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের প্রচারের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি থানার সোহাগদল গ্রামে ১৪ দিন ছিলেন। প্রাদেশিক পরিষদের স্বরূপকাঠি-বানারীপাড়া-কাউখালী আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন জয়নাল আবেদিন (মোক্তার)। তার নির্বাচনি প্রচার চালাতেই বঙ্গবন্ধু সেখানে গিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি ছিলেন জয়নাল আবেদিনের চাচা মমতাজ উদ্দিন তালুকদারের বাড়িতে।

জয়নাল আবেদিনের ভাই আব্দুর রহমান তালুকদার জানান, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ’৫৬ সালের মার্চে পূর্ব বাংলার গভর্নর হলে প্রাদেশিক পরিষদে তার আসনটি শূন্য হয়। এ আসনে উপনির্বাচনে পিরোজপুর মহকুমা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন অবিভক্ত বাংলার সাবেক মন্ত্রী ও মুসলিম লীগ নেতা স্বরূপকাঠির সেহাংগল গ্রামের খান বাহাদুর হাশেম আলী খান। এ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালাতে বঙ্গবন্ধু স্বরূপকাঠিতে এসেছিলেন। এসময় তিনি বিভিন্ন এলাকায় জনসভা ও কর্মী সভায় ভাষণ দেন। জয়নাল আবেদিনকে ভোট দেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

আব্দুর রহমান আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ নভেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত সেই ঘরটিসহ তাদের স্বজনদের ঘর পুড়িয়ে দেয়। এরপর সেখানে একটি পাকা ঘর তোলা হয়েছে।

জয়নাল আবেদিনের ছোট ছেলে পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুনিরুজ্জামান নাসিম জানান, আওয়ামী লীগের সভাপতি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী,  ইত্তেফাক সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, মঠবাড়িয়ার মহিউদ্দিন আহমেদ, বরিশালের পিস্তল মহিউদ্দিন,আমির হোসেন আমুসহ যুক্তফ্রন্টের শরিক দলের অনেক নেতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নেন।  ওই নির্বাচনে জয়নুল আবেদিন জয়ী হয়েছিলেন।

Comment here