কৃষি ও শিল্প

বাংলাদেশের গাজীপুরে প্রথম ফুটল টিউলিপ

অনলাইন ডেস্কঃ

রাজকীয় সৌন্দর্যের ফুল টিউলিপ। পৃথিবীর শীতল দেশেগুলোতে এ ফুল বেশি চাষ হয়। যত বেশি শীত টিউলিপের রূপ তত বেশি নান্দনিক। নেদারল্যান্ডসে ব্যাপকভাবে চাষ হওয়া সেই টিউলিপের মুগ্ধতায় আটকে পড়েছিলেন বাংলাদেশি ফুলচাষি মো. দেলোয়ার হোসেন।

 তিনি স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশের মাটিতে বহু রঙের  টিউলিপ ফুটবে। এই স্বপ্ন ছয় ঋতুর দেশে অনেকটাই অসম্ভব হলেও গাজীপুরের দেলোয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন। শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পূর্বখণ্ড এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ফুলচালি দোলোয়ার। তার ‘মৌমিতা ফ্লাওয়াস’ নামে বাগানে গত ডিসেম্বরে পরীক্ষামূলকভাবে এক হাজার টিউলিপ চারা (বাল্ব) রোপণ করেন। সঠিক পরিচর্যায় এক প্রজাতির চার রঙের এই ফুলে জানুয়ারির শেষের দিকে ফুঁটতে শুরু করে ফুল। এদিকে দেলোয়ারের টিউলিপের এমন দৃষ্টিনন্দন বাগান দেখতে বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিদিন দর্শনার্থী ও উদ্যোগক্তারা ভিড় করছে।

দেলোয়ার বলেন, আবহাওয়া তারতম্যের কারণে ২০-২২ দিনেই ফুটে এ ফুল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক চাহিদা থাকা এই ফুল চাষে তাপমাত্রা ৫-৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে ভালো চাষ হয়। এর বেশি তাপমাত্র হলে ফলন ভাল হয় না। পৃথিবীতে ১৫০ প্রজাতির টিউলিপ ফুল রয়েছে। তবে লাল,বেগুনি,সাদা, হলুদ ,পিঙ্ক রঙের টিউলিপ বেশি। তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশেও এ ফুলে বেশ চাহিদা রয়েছে। হল্যান্ড, চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদনি করে চাহিদা পূরণ করা হয়। শীতপ্রধান জেলা পঞ্চগড়সহ বেশ কিছু অঞ্চলের তাপমাত্রা কম, তাই ওই এলাকাগুলোতে এই ফুল চাষে সফলতা সহজে পাওয়া যাবে। তার বাগানে এক ফুটের একটু বেশি উচ্চতায় গাছ বেড়ে উঠেছে। কেউ উদ্যোগী হলে তিনি টিউলিপ ফুলের জাত সরবরাহ থেকে শুরু করে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করবেন বলে জানান।

শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএসএম মূয়ীদুল হাসান সময় সংবাদকে বলেন, টিউলিপ ফুলের চাষ এদেশে বড় পরিসরে এখনো শুরু হয়নি। ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই বাড়ির টবে চাষ করতে শোনা যায়। কিন্তু বাণিজ্যিক ভিত্তিক টিউলিপ ফুল চাষে দেলোয়ার হোসেন যে স্বপ্ন দেখালেন, তা অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। দেলোয়ার হোসেনের সহযোগিতায় বাণিজ্যিকভাবে যে কেউ টিউলিপ ফুল চাষে আসতে পারেন।

এর আগে দেলোয়ার জারবেরা,রজনীগন্ধা,বাহারি রঙের চায়না গোলাপ চাষেও ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। ২০১৭ সালে অর্জন করেছেন বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক।

Comment here