নেছারাবাদ/স্বরূপকাঠি

স্বরূপকাঠীতে গোডাউন থেকে ৩৬ বস্তা চাল গায়েবঃ সন্দেহের তীর আশিস বড়ালের দিকে

স্বরূপকাঠী প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী) উপজেলার জলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউন থেকে জেলেদের জন্য বিতরণ করা চাল থেকে ৩৬ বস্তা (প্রায় ১১শ’ কেজি) চাল গায়েব হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার সকালে চাল বিতরণ করতে গিয়ে মৎস্য বিভাগের ফিরোজ আহমেদ আহমদ ও ট্যাগ অফিসার মো. নুরুন্নবী সাড়ে ৩৬ বস্তা চাল কম পান। এ নিয়ে জেলেদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে চাল বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান, ট্যাগ অফিসার, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব, হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও গ্রাম পুলিশের সাথে কথা বলে ভিন্নি ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, জলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশিস বড়াল ২৪ মার্চ দু:স্থদের জন্য ভিজিডির ৫০৯ বস্তা ও মৎস্য জীবিদের জন্য ৯১৬ বস্তা চাল এলএসডি গোডাউন থেকে উত্তোলন করে স্থানীয় ইদেলকাঠি বাজারের পরিষদের গোডাউনে জমা রাখেন। চাল গোডাউনে ওঠানোর পরে চাবী ইউপি সদস্য মত্যুঞ্জয় এর কাছে রাখা হয় বলে চেয়ারম্যান দাবী করেন। মঙ্গলবার জেলেদের চাল বিতরণ করার খবর পেয়ে মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা ফিরোজ আহমদ ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) মো. নুরুন্নবী ঘটনাস্থলে যান। এ সময় চাল কম থাকার বিষয়টি তাদের গোচরে এলে তারা স্টক গুনে চালের হিসাব দিতে বলেন ইউপি সচিব মিজানুর রহমানকে। এসময় চালের বস্তা গণনা করে ৩৬ বস্তায় প্রায় এক হাজার একশত কেজি চাল কম রয়েছে বলে জানতে পারেন।
এ বিষয়ে জলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশিস বড়াল বলেন, চাল দেয়া নেয়ার ব্যাপারে রেজুলেশন করে চার ইউপি সদস্যকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মোট ১২ জনকে চাল দেয়ার জন্য সুপারিশ করেছি। সেখানে ১২বস্তা চাল দেয়া হয়েছে। এর বাইরে আমি কিছু বলতে পারবো না। তবে চাল আনার সময় লেবাররা খাবার খরচের কথা বলে কিছু চাল নিয়ে থাকে। এছাড়া চাল দেয়ার সময় কিছু চাল বিভিন্ন সুপারিশে দিতে হয়। এতে বিশেষ কিছু সমস্যা না। তবে নির্বাচনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ষড়যন্ত্রকারীরা আমাকে হেও করার জন্য বিষয়টিকে বিরাট আকারে ছড়াচ্ছেন বলে তিনি দাবী করেন।
এ বিষয়ে ইউএনও মো. মোশারেফ হোসেন বলেন, জেলেদের জন্য উত্তোলন করা চাল কম থাকার বিষয়টি জানার পরে তিনি মৎস্য বিভাগের কর্মচারী ফিরোজকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে বস্তা গণনার জন্য নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে চাল কম থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে আপাতত বিতরণ কাজ বন্ধ রাখতে বলেন। তিনি বলেন, পরবর্তীতে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Comment here