ব্রেকিং নিউজ

ভাণ্ডারিয়া হাসপাতালে জিন এক্সপার্ট মেশিন স্থাপন

ভাণ্ডারিয়া প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি নতুন জিন এক্সপার্ট মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। চলমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে এই বিশেষ মেশিনটি
পিরোজপুর জেলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের সন্নিহিত এলাকার করোনা রোগীদের জন্য একটি সুখবর বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শেখ মো. কামাল হোসেন। এ মেশিনটি যক্ষ্মা রোগী শনাক্তকরণে স্থাপিত হলেও পাশাপাশি করোনা মহামারিকালে কোভিড-১৯ ভাইরাস রোগীর রোগ নির্ণয় একইভাবে কাজ করবে। ভাণ্ডারিয়া-কাউখালী-ইন্দুরকানী এলাকার সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর বিশেষ আগ্রহে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই মেশিনটি ভাণ্ডারিয়া হাসপাতালে বরাদ্দ করে। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য যক্ষ্মা রোগী শনাক্তকরণের জন্য এই বিশেষ ধরনের মেশিনটি গত বুধবার ভাণ্ডারিয়া হাসপাতালে স্থাপন করা হয়।
জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি বুধবার বিকালে হাসপাতাল চত্বরে এ জিন এক্সপার্ট মেশিনের সেবা কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডা. হাসনাত ইউসুফ জাকি, পিরোজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহারাজ, ভাণ্ডারিয়া উপজেলা জেপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহিবুল হোসেন মাহিম, উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নির্দেশে সম্প্রতি ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমবিডিসি ও লাইন ডাইরেক্টর টিবিএল অ্যান্ড এএসপির পরিচালকের কাছে এ মেশিন বরাদ্দের আবেদন করেছিলেন। বেসরকারি সংস্থা ব্রাকের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জয়েন্ট ভেঞ্চার জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ নামে যে কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে তারই অংশ বিশেষ হচ্ছে এই জিন এক্সপার্ট মেশিন স্থাপন। এর আগে এই মেশিন বসানোর জন্য ব্রাক ভাণ্ডারিয়া হাসপাতাল ভবনে একটি কক্ষ সংস্কারসহ বিভিন্ন মালামাল সরবরাহ করে। সরবরাহকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে চেয়ার-টেবিলসহ ফাইল কেবিনেট, অনলাইন ইউপিএস, এয়ারকন্ডিশনার, রিফ্রিজারেটর, ডায়াল থার্মোমিটার, টাইমার, টিউব র্যাক ইত্যাদি। সরবরাহকৃত জিন এক্সপার্ট মেশিনের বিভিন্ন আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম ও দ্রবাদির মধ্যে রয়েছে কার্টিজ, সার্জিক্যাল গ্লোভস, এন-৯৫ মাস্ক, পেপার টাওয়েল, সু-কভার ইত্যাদি। ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শেখ মো. কামাল হোসেন জানান, এ ধরনের জিন এক্সপার্ট মেশিনের সেবা দক্ষিণাঞ্চলের বিভাগীয় শহর বা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ব্যতীত জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নেই। ভান্ডারিয়ায় এ মেশিনটি স্থাপন করায় যক্ষ্মা রোগীদের রোগ শনাক্তকরণে যেমন স্থায়ী সুবিধা সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি এ করোনা কালে সন্নিহিত অঞ্চলের জেলা ও উপজেলা সমূহের কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য বিশেষ সেবারও সুযোগ সৃষ্টি হলো। শুধু কার্টিজ বদল করে যক্ষ্মা শনাক্তকরণের পাশাপাশি করোনা শনাক্ত করা হবে। স্থাপিত জিন এক্সপার্ট মেশিনের সুফল হিসাবে করোনা ও যক্ষ্মা রোগ শনাক্তকরণ সেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে নিয়মিত রিপোর্ট সংরক্ষণ করা হবে।

Comment here