সম্পাদকীয়

বিভ্রান্ত ও বিস্মিত হওয়ার কোন কারণ নেই, এসব পুরাণো ষড়যন্ত্রঃ

বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা চাচ্ছেন দেশটাকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে। তাঁর ভাবনা অনেক আগে থেকেই। আর এজন্য দরকার দলের মধ্যে সৎ, যোগ্য, পরীক্ষিত, দুঃসময়ের বন্ধু এবং নির্লোভ ব্যক্তি।যাদেরকে মনোনয়ন এবং নৌকা প্রতীক দিয়ে নির্বাচনী মাঠে অবতীর্ণ হয়ে বিজয়ী হতে পারেন।
জননেত্রী শেখ হাসিনার এ প্রয়াস ও চেষ্টা বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে দলের মধ্যে কিছু বর্ণচোর, মতলববাজ, আওয়ামী নামধারী সুবিধাভোগী লোকের জন্য।
আপনাদের নিশ্চ্যই মনে আছে- ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের ষড়যন্ত্রকারী ও আওয়ামী নামধারী সুবিধাভোগীদের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সুধাংশু শেখর হালদার জামায়াতের দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর কাছে পরাজিত হন।
ঠিক একই ষড়যন্ত্রের নীল নকসা করা হয়েছিল ৩০ জানুয়ারি ২০১৯ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে।এবারের প্রার্থী ছিলেন আওয়ামীলীগ তথা শেখ হাসিনার মনোনিত ও অত্যন্ত আস্থাভাজন ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব তুখোর বক্তা সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম। তার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন সেই জামায়াতের দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর পুত্র শামীম সাঈদী। পুরাণো খেলা আবার সামনে এসে গেছে।
কিন্তু অত্যন্ত বিচক্ষণ এলাকার জনগণ এবং কিছু ত্যাগী নেতা-কর্মীদের জন্য সেই পুরাণো খেলা খেলতে পারিনি। ফলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন শ ম রেজাউল করিম।
কিন্তু এখনেই শেষ নয়-কিভাবে শ ম রেজাউল করিমকে হেনস্থা এবং এলাকার উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করা যায় এ জন্য কোমর বেঁধে নেমেছে সেই পূরাণো বিশ্বাসঘাতকের দল।
আবার উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ ৬০০ কোটি টাকা। এতে মাথা ঠিক থাকার কথা নয়। ফলে শতভাগ একজন ভদ্র লোক শ ম রেজাউল করিম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে শুরু হয়ে যায় একে পর এক ষড়যন্ত্র। তারই ধারাভাহিকতার “ওই মিথ্যাচরের আপত্তিকর ভিডিও”।
আমি এ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম ভাই ও তার পরিবারের সকল সদস্যকে চিনি ও জানি কয়েক যুগ থেকে। সুতরাং আমি সাক্ষ্য দিতে পারি সৎ ও ভদ্রতা কাকে বলে তা আমাদের অনেককেই তার কাছ থেকে শিখতে হয়।
তাই বিভ্রান্ত ও বিস্মিত হওয়ার কোন কারণ নেই। এসব পুরাণো ষড়যন্ত্রঃ সাবেক সংসদ সদস্য সুধাংশু শেখর হালদারও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন, অপমানিত হয়েছেন এমনকি লাঞ্ছিত হয়েছিলেন। সুতরাং এখন টার্গেট শ ম রেজাউল করিম।

Comment here