সম্পাদকীয়

জরাজীর্ণ পিরোজপুর কে আলোকিত করতে মন্ত্রী রেজাউল করিম এর বিকল্প নেইঃ মানুষের কল্যানে আমৃত্যু কাজ করে যেতে চান তিনি

সম্পাদকীয়

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি ১২৭ পিরোজপুর-১ (পিরোজপুর সদর-নাজিরপুর-নেছারাবাদ)আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হওয়ার অল্প কিছু দিনের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেণ। মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব গ্রহনের দশ মাসে সারা দেশের ন্যায় তার নির্বাচনী এলাকা পিরোজপুর -১ এ এনেছেন দৃষ্টিনন্দন পরিবর্তন ও উন্নয়ন। পিরোজপুরের সাধারণ মানুষদের কাছে তিনি উন্নয়নের ও পরিবর্তনের কান্ডারী হিসেব পরিচিতি লাভ করেন। জাতি ধর্ম বর্ণ দল মত নির্বিশেষে সকলে তার কর্মকাণ্ডে খুশি,এখন তাদের কাছে আশার আলো শ ম রেজাউল করিম। তারা বিশ্বাস করে বিগত দিনের আটকে থাকা বন্দী, জরাজীর্ণ পিরোজপুর কে আলোকিত করতে মন্ত্রী রেজাউল করিম এর বিকল্প নেই। তাই এলাকাবাসী বলেন “আমার এমপি-আমার গর্ব”

-এর বিষয়ক শ ম রেজাউল করিম এর নির্বাচিত এলাকার সাধারণ মানুষদের ও দলীয় তৃণমূল নেতা কর্মীদের মতামত জানতে চাইলে অনেকেই বলেন পিরোজপুরকে আলোর মুখ দেখাতে তাদের এমপির বিকল্প নেই। এমনকি তারা আরো জানান তাকে আরো দশ বছর আগে পেলে আজ পিরোজপুর হতো উন্নয়ন অগ্রগতিতে দেশের শ্রেষ্ঠ জেলা। ইতিমধ্যে পিরোজপুরের সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীরা তাদের নিজস্ব মতামত তুলে ধরেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত পিরোজপুরের মানুষের মতামত হুবহু তুলে ধরা হলোঃ-

হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রীস্টান সবার কাঁধে কাঁধ রেখে একটি অসাম্প্রদায়িক জেলা হিসেবে পিরোজপুর’কে ফুলের মতো করে সাজানোর অঙ্গীকার নিয়ে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় দৃঢ় কন্ঠে ঘোষনা দিয়ে বলেছেন সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করবেন এবং তিনি তা করতে সক্ষম হয়েছেন।

পিরোজপুরে কোন ক্যাডার, গডফাদার থাকবেনা। সে লক্ষ্যে তার উদ্দোগে পিরোজপুরের প্রশাসন ও জনসাধারণ এর সমন্বয় সাধনের মাধ্যমাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা ব্যাপক অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়েছে।পিরোজপুর থেকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, মাদক ব্যবসা,ইভটিজিং চাঁদাবাজির শিকড় উপড়ে ফেলা হবে এবং তিনি তা করতে সক্ষম হয়েছেন,যার অগ্রগতি পূর্বের তূলনায় ৭৫ শতাংশ সার্থক। পিরোজপুরে লঞ্চঘাট, খেয়াঘাট,বাসস্ট্যান্ড সহ কোথাও কোন চাঁদাবাজি নেই।

মন্ত্রী বলেছেন, তার গায়ে যেন কোন দুর্নীতির ছোঁয়া না লাগে এমন কি তার আত্মীয়স্বজন দুর্নীতিগ্রস্থ হলেও যেন তাদেরকেও কোন বিন্দুমাত্র ছাড় না দিয়ে আইনের আওতায় আনা হয়।-তার এই বক্তব্যের এখন পর্যন্ত কোন ব্যতয় হয়নি যা পিরোজপুরের মানুষের মুখে দীর্ঘদিনের আকাঙ্খায় পরিবর্তনের হাসি ফুটিয়েছেন।

তিনি তার নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিলেন-টিআর কাবিখার একটি টাকাও তিনি কোনোদিন স্পর্শ করবেন না এবং তা সাধারণের মাঝে পরিলক্ষিত হয়েছে। পিরোজপুরবাসীর আর কোনদিন চাকুরী নিয়োগে ঘুষ দিতে হবেনা। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সহ প্রত্যেকটি নিয়োগ স্বচ্ছ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেছিলেন মাদকসেবী ব্যাবসায়ী আর ইভটিজারদের জন্য দুটি পথ খোলা থাকবে-হয় ভালো হতে হবে নতুবা জেলে যেতে হবে।  তিনি তার প্রতিটি ওয়াদা পালন করছেন।পিরোজপুরে এখন সকল সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে ঘুষবিহীন নিয়োগ হচ্ছে। টিআর কাবিখার সুষম বন্টন হচ্ছে। চাঁদাবিহীন যানবাহন চলাচল করছে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সস নীতিতে সফল তিনি। সন্ত্রাসী গডফাদাররা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

তিনি নির্বাচিত হবার পর উন্নয়ন–

পিরোজপুর ১ আসনে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছেন। পিরোজপুরে সরকারি হাউজিং প্রতিষ্ঠা। ৭টি উপজেলায় ৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র অনুমোদন। পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন।ইতোমধ্যে স্থানও নির্ধারন প্রায় চুড়ান্ত হয়েছে। পিরোজপুর নাজিরপুর নেছারাবাদের ১০ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রতিটিতে একটি করে চারতলা একাডেমিক ভবন নির্মান প্রকল্প।পিরোজপুর নাজিরপুর নেছারাবাদে ৮ টি ব্রীজ নির্মান প্রকল্পের আনুমোদন ও তা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পিরোজপুর জামে মসজিদের উদ্বোধন। পিরোজপুরের শহীদমিনারের ফলক উন্মোচন।পিরোজপুর সরকারী সোহরাওয়ার্দী কলেজের বিভিন্ন ভবনের উন্নয়ন প্রকল্প ও পিরোজপুরের পোরগোল সম্মিলিত বহুতল ভবনের নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন। পিরোজপুর খেয়াঘাট – হুলারহাট সড়কের ৪টি ব্রীজ কালভার্ট নির্মান চলছে। পিরোজপুর মহিলা কলেজের ছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য দুটি বাস প্রদান। পিরোজপুর হুলারহাট শ্রীরামকাঠি স্বরুপকাঠির মহাসড়কে উন্নয়ন।পিরোজপুর কলকাতা বাস সার্ভিস চালুকরন। নাজিরপুর উপজেলার মধুমতি নদের উপড় সংযোগ ব্রীজ নির্মান। নাজিরপুর উপজেলার পলাশডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টির মাধ্যমিক স্তর এমপিওভুক্তিকরন। নাজিরপুরের গাওখালী স্কুল এন্ড কলেজ এমপিওভুক্তি। নাজিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবন নির্মাণ কাজ চলমান। নাজিরপুরে ভীমখালি কাইলানী খাল পুনঃ খনন কাজ চলমান।নাজিরপুর গজালিয়া সড়কের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন ও কাজ চলমান। নাজিরপুরের দেউলবাড়ী দোবরা ইউনিয়নে মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন। নাজিরপুর পঞ্চবেকী বাজার থেকে উড়িবুনিয়া খেয়াঘাট পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ। নাজিরপুর পঞ্চবেকী বাজার থেকে বালিহারী সংযোগ সেতু নির্মান। নাজিরপুর উপজেলায় সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবন ও হলরুম নির্মান। নাজিরপুর শহীদ জননী একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন ও কাজ চলমান। নজিরপুরে শ্রীরামকাঠির জীবগ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উদ্বোধন। নাজিরপুর মাটিভাংগা ইউনিয়নের বরইবুনিয়া চারঘাটা সংযোগ ব্রীজ অনুমোদন। নাজিরপুর কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নে মাধ্যমিক বিদ্যালয় নির্মান। নাজিরপুর কৃষি কলেজের প্রস্তাব অনুমোদন। নাজিরপুর দিঘারজান ব্রীজ হতে হোগলাবুনিয়া হয়ে কুদ্দুস মল্লিকদের বাড়ীর রাস্তা অনুমোদন। নাজিরপুর তৈয়াবের বাড়ী হতে ভাইজোড়া হয়ে বরইবুনিয়া মুন্সিবাড়ীর রাস্তা নির্মান। নাজিরপুরের বানিয়াবাড়ি তারাবুনিয়া রাস্তা ও মাটিভাঙ্গা সাচিয়া খেয়াঘাটের রাস্তার প্রকল্প পাশ। নাজিরপুর চৌঠইমহল বাসস্ট্যান্ড থেকে শ্রীরামকাঠি রাস্তা নির্মান। নাজিরপুর বাবুরহাট বাজারে সরকারী ব্যয়ে চারতলা মার্কেট নির্মান বরাদ্দ। নাজিরপুর সিকদার মল্লিক মাটিভাঙ্গা সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ। নাজিরপুর সরকারী সিরাজুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন বরাদ্দ। নাজিরপুর দীঘা কালিগঙ্গা নদীর উপড় শেখ হাসিনা সেতুর উদ্বোধন। নাজিরপুর থানায় একটি পুলিশ পিকআপ প্রদান।নাজিরপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি এম্বুলেন্স প্রদান। নাজিরপুর পূর্ব কাঠালিয়া সাইক্লোন সেন্টার উদ্বোধন। নেছারাবাদ সন্ধ্যা নদীতে ফেরি সার্ভিস চালু। নেছারাবাদ কুহুদাসকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাইক্লোন সেন্টার উদ্বোধন। নেছারাবাদ ডুবি মাদ্রাসা হতে চৌদ্দরশী বাজার পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ। নেছারাবাদ ডুবি বাজার সংলগ্ন আরসিসি গার্ডার ব্রীজ নির্মান। নেছারাবাদ উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন এম্বুলেন্স বরাদ্দ। নেছারাবাদ উপজেলায় আধুনিক ডাকবাংলা নির্মানে অর্থ বরাদ্দ। নেছারাবাদ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় উদ্বোধন। নেছারাবাদ সমুদয়কাঠিতে নতুন বিদ্যুত সংযোগ। নেছারাবাদের সোহাগদল শহীদ স্মৃতি কমপ্লেক্স ব্যাংক ভবন উদ্বোধন।

এছাড়া তিনি তার নির্বাচনী ইশতেহারে যে সকল পরিবর্তন ও উন্নয়নের কথা বলেছিলেন তিনি তা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করে চলছেন যা অতীতে কখনো দৃশ্যমান ছিলনা।পিরোজপুরে কোথাও কোন দুর্নীতি দেখলে সরাসরি তিনি তাঁর সাথে যোগাযোগ করতে বলেছেন যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক একটি বাণী।এক কথায় মাত্র দশ মাসের মাথায় সাধারন মানুষের প্রাণের মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন মন্ত্রী রেজাউল করিম। তার সৌহার্দ্য পূর্ণ আচরণ মুগ্ধ করেছে সকলকে। সকলের সার্থে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে আমরণ মানুষের কল্যানে কাজ করে যেতে চান এই নেতা।

আমরা পিরোজপুরবাসী অত্যন্ত আশাবাদী। সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে আল্লাহ তার সহায় হোন। “সাধারণের মাঝে অসাধারণ হয়ে তিনি বেঁচে থাকুন আমাদের মাঝে ”।

 

 

 

 

 

 

 

Comment here