আলোকিত মুখজানা-অজানা

পিরোজপুরের আর এক কৃতি সন্তান এ্যাডভোকেট কামরুন্নাহার লায়লী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
১৯৩৭সালে পিরোজপুর সদর উপজেলার রানীপুর মাতুলালয়ে কামরুনম্নহার লায়লী জন্ম গ্রহন করেন। পৈত্রিক নিবাস সদর উপজেলার ডুমুরীতলা গ্রামে। তাঁর পিতা পিরোজপুর জেলা জজ আদালতের খ্যাতিমান আইনজীবী মোঃ মকবুল হোসেন মোল্লা।
এ্যাডভোকেট কামরুন্নাহার লায়লী ১৯৫১ সালে পিরোজপুর আরবান গার্লস স্কুল থেকে মেট্রিক, ১৯৫৩ সালে বি এম কলেজ থেকে আই, এ ১৯৫৬ সালে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগে অনার্স সহ,
১৯৫৭সালে এম, এ পাশ করেন। ১৯৬৩ সালে এল -এল, বি ডিগ্রি লাভ করেন।
ছাত্রজীবন থেকেই তিনি প্রগতিশীল রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেত্রী ছিলেন এবং ডাকসুর নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। তিনি ভাষা আন্দোলনসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনের অগ্রনী ভুমিকায় ছিলেন।
১৯৫৭ সালে মাওলানা ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন কামরুন্নাহার লায়লী। বামপন্থী রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার কারনে তৎকালীন সরকার ১৯৬০ সালে তাকে ঢাকা থেকে বহিষ্কার করে।
তিনি শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতার সাথেও জড়িত ছিলেন অনেক দিন। দৈনিক ইত্তেফাকের মহিলা বিভাগের সম্পাদিকা ছিলেন এবং সাপ্তাহিক অবরুদ্ধার সম্পাদক ছিলেন তিনি। কামরুন্নাহার লায়লী ১৯৬৩ সালে ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে এবং ১৯৬৮ সালে ঢাকা হাইকোর্টে যোগদান করেন।
তিনি ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ বারকাউন্সিল নির্বাচনে প্রথম মহিলা সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশের প্রথম মহিলা নোটারী পাবলিক হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি দেশ- চীন মৈত্রী সমিতির সভানেত্রীও ছিলেন। পিরোজপুরের কৃতি সন্তান এ্যাডভোকেট কামরুন্নাহার লায়লী ১৯৮৪ সালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
কামরুন্নাহার লায়লী বাংলদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক রাজনীতি বিদ সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার জাহিদের (প্রয়াত) সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং আনোয়ার জাহিদ জেলখানায় থাকা অবস্থায় জেল গেটে তাদের বিয়ে হয়। তাদের এক কন্যা সোমা জাহিদ, এক পূত্র অন্তুু জাহিদ (প্রয়াত)।পিরোজপুরের আ্যাড, আবুল কালাম আকন হলেন কামরুন্নাহার লায়লীর ছোট ভগ্নিপতি।
(তথ্য সূত্র ও কৃতজ্ঞতা স্বীকার>আ্যাড,আবুল কালাম আকন)

Comment here