নাজিরপুর

নাজিরপুরে ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে হামলায় পুলিশসহ আহত ১৫ ॥ গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পিরোজপুরের নাজিরপুরে ইউপি নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এক মেম্বার প্রার্থীর কর্মীদের হামলায় পুলিশের দুই এসআই ও নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত আনসার সদস্যসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিজিপি সদস্যদের বহনকরা গাড়ি ভাংচুর করে। হামলায় আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় পুলিশ গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাতকাছিমা গ্রামে।
হামলার ঘটনায় ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাডিং কর্মকর্তা মো. শাহ আলী আশ্রাফ বাদী হয়ে সোমবার রাতেই ৪৯ জনকে নামীয় ও আরো ৫শ’ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রাকিবুল হাসান শেখসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়দুর রহমান ওই হামলায় ও তার (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা), নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিজিবি সদস্যদের বহন করা ৩টি গাড়ি ভাংচুরের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার নির্বাচনের পরে ভোট গণনা শেষে রাত ৮টার দিকে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার কাজ শেষ হয়। এসময় ওই ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী মো. আলমগীর হোসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। কিন্তু কিছু সময় পর বিজয়ী আলমগীর হোসেনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. কামরুল হোসেন মোল্লার কিছু ব্যালট বিজয়ী প্রার্থীর বাল্ডিলে রয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় প্রতিদ্বন্দ্বি কামরুল মোল্লার কর্মীরা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ে ও কেন্দ্রে হামলা চালায়। হামলায় ওই কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা পুলিশের এসআই ইমাম হাসান মো. বাচ্চু মিয়া এবং পুলিশ সদস্য মো. নুরুল আমীন, ছগির হোসেন, দেব দুলাল হালদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দেহরক্ষী সাইমুন হোসেন, আনছার সদস্য ইমারেজ ফকির, মো. আমিন ফকির, মো. শাহ আলম, নির্বাচনী কাজে নিয়েজিত সালমা বেগম, স্থানীয় সায়েব আলী শেখের ছেলে রিয়াজ শেখ (৫৬), হাসনা বানু (৮০), ছাত্রলীগ নেতা রাকিব শেখ আহত হন।
নাজিরপুর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. আশ্রাফুজ্জামান ওই সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, হামলা ও সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে গুলি ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে।

Comment here