নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন,দল ক্ষমতায় আছে বলেই কিন্তু সুসময় আছে এটা ভাবা যাবে না। কেননা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্য সব সময় একটি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠি কাজ করে। ওরা ৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, ২০০১ এর অক্টোবরের পরে ভয়ঙ্কর নৈরাজ্য কায়েম করেছিল তখনকার জামায়াত-বিএনপি জোট সরকারের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসী বাহিনী, প্রশাসন। শহর, গ্রাম কোথাও ঘর থেকে বের হতে পারে নি আওয়ামী লীগের লোকজন। সে সময়ে আওয়ামী লীগের ১১শ লোককে হত্যা করা হয়েছে। পূর্নিমার মত মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে, হয়রানী করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পিরোজপুরে পৌর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে অপারেশন ক্লীনহার্টের নামে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নির্যাতন করেছিল। আওয়ামী লীগের অনেক জাতীয় নেতাকে ঢাকার রাস্তায় পিটিয়ে, বুট দিয়ে লাথি মেরে নির্যাতন করা হয়েছিল। সেই কঠিন সময় অতিক্রম করে জননেত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে এসেছেন। তাই আমাদের মাঝে ঐক্যের ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা থাকতে হবে। দলের মধ্যে কোন নেতাকে বেশী ভাল লাগতে পারে, কাউকে কম লাগতে পারে।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, নেতা-কর্মীদের মধ্যে মান অভিমান থাকতে পারে, তাই বলে দলের মধ্যে ঐক্য নষ্ট করা যাবে না। অকারণে কাউকে দল থেকে কাউকে তাড়িয়ে দিলে দল দুর্বল হয়ে যাবে। দুর্বল হয়ে যাবে শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রা, বঙ্গবন্ধু’র সোনার বাংলা বির্নিমান দুর্বল হয়ে যাবে।
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, দল ক্ষমতায় আছে বলেই কিন্তু সুসময় আছে এটা ভাবা যাবে না। কেননা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্য সব সময় একটি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠি কাজ করে। ওরা ৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ঘটিয়েছে, ওরাই ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা ঘটিয়েছে, ওরা ৩ নভেম্বর ঘটিয়েছে, ওরাই ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। ওরা এখনও থেমে নেই। তাই তৃর্ণমূল থেকে সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের একসাথে থেকে সকলকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে ঐক্যের ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তার সাথে সংগঠনকে গড়ে তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বির্নিমান করতে হবে। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উন্নয়নের যে রোলমডেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়ে এসেছে সেখান থেকে পিছনে ফিরে তাকাবার সময় আমাদের নেই। বাংলাদেশে দ্বিতীয় কোন নেতৃত্ব নেই যে শেখ হাসিনার সাথে তুলনা করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সমকালীন রাজনীতিতে শুধু নয়, উপমহাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার চেয়ে বেশী সময় কেউ রাজনীতি করেন নাই। ছাত্র রাজনীতি এবং বাংলাদেশে ফিরে আসার পরের ধারাবাহিক রাজনীতিতে শেখ হাসিনার চেয়ে বেশী সময় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত কেউ নেই। সেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বের রাজনীতির কর্মী আমরা। আওয়ামী লীগের নেতা একজনই। আদর্শ বঙ্গবন্ধু’র, নেতা শেখ হাসিনা। আর আমরা সকলে মিলে শেখ হাসিনার কর্মী।
পিরোজপুর গোপাল কৃষ্ণ টাউন ক্লাব মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এবং জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল।
পিরোজপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট খান মো. আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহজাহান খান তালুকদার, সহ-সভাপতি ও পৌর মেয়র মো. হাবিবুর রহমান মালেক, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এম এ হাকিম হাওলাদার, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান ফুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী প্রমুখ।
সম্মেলন বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং সভা পরিচালনা করেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন নান্না।
Comment here