নেছারাবাদ/স্বরূপকাঠি

স্বরূপকাঠিতে কৃষিশিক্ষা পরীক্ষা দিতে পারছে না ৩৫ পরীক্ষার্থী

স্বরূপকাঠি প্রতিনিধিঃ
স্বরূপকাঠিতে এসএসসি ভোকেশনাল শাখার কৃষিশিক্ষা বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না ৩৫ পরীক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থীরা ৯ম শ্রেণিতে কৃষি শিক্ষা বিষয়ে ফেল করায় তাদের এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্রে ওই বিষয়ের নাম কোড আসেনি। সরকারি স্বরূপকাঠি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং আরামকাঠি হাজী ইব্রাহীম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা জানান, তাদের ৩৫ পরীক্ষার্থী অন্যান্য বিষয় পরীক্ষা দিতে পারলেও কৃষি শিক্ষা বিষয়ে পরীক্ষা দিতে পারব না। তবে কৃষি শিক্ষা অতিরিক্ত সাবজেক্ট হওয়ায় এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে (পাসের ক্ষেত্রে) এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানান স্বরূপকাঠির কেন্দ্র সচিব ও সরকারি স্বরূপকাঠি পাইলট মডেল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার দত্ত। তবে শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফল অর্জনের ক্ষেত্রে শঙ্কা রয়েছে বলে তিনি জানান। আরামকাঠি হাজী ইব্রাহিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল জেনারেল মেকানিক্স শাখার ইন্সট্রাক্টর মো. আনিসুর রহমান বলেন, এ বছর তাদের বিদ্যালয় থেকে মোট ৩৭ শিক্ষার্থী এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এদের মধ্য থেকে ২০ পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্রে অতিরিক্ত বিষয় হিসেবে কৃষি শিক্ষার সাবজেক্ট কোড আসেনি। প্রবেশপত্র হাতে পেয়েই তারা বিষয়টি জানার জন্য বোর্ডে যায়। বোর্ড কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়েছে ওই শিক্ষার্থীরা নবম শ্রেণির পরীক্ষায় কৃষিশিক্ষা বিষয়ে ফেল করেছে। এজন্য এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় তাদের প্রবেশপত্রে কৃষি শিক্ষা বিষয়ের নাম কোড যায়নি। ওই শিক্ষক বলেন, কৃষি শিক্ষা বিষয়ে তাদের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারবে না। এজন্য তাদের শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফলের দিক থেকে পিছিয়ে পড়বে। আরামকাঠি হাজী ইব্রাহিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা নবম শ্রেণিতে কৃষিশিক্ষায় ফেল করেছে বলে এই সমস্যা হয়েছে। কেন্দ্র সচিব স্বপন কুমার দত্ত আরও বলেন, কেবল আরামকাঠি হাজী ইব্রাহিম বিদ্যালয়ই নয়, তার বিদ্যালয়ের ১৫ শিক্ষার্থীসহ উপজেলার বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার অনেক এসএসসি পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্রে কৃষি শিক্ষার নাম কোড আসেনি। তিনি বলেন, শিক্ষা বোর্ডের অবহেলার কারণে এ রকম সমস্যা হয়েছে। আগামীতে যাতে এরকম সমস্যা না হয়, সে জন্য আরও সতর্ক থাকতে হবে।

Comment here