নাজিরপুর

পিরোজপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলু এখন কাস্তে হাতে ধান ক্ষেতে

নিজ্সব প্রতিবেদকঃ
করোনা ভাইরাস ঠেকাতে জেলায় চলছে লকডাউন। বাহিরের জেলার সাথে পিরোজপুরের যোগাযোগ প্রায় বন্ধ করা হয়েছে। এরইমধ্যে ইরি-বোরো ধান কাটা মৌসুম শুরু হয়েছে। লকডাউনের কারণে শ্রমিক সংকটে পড়েছে কৃষকরা। তবে ধানের বাম্পার ফলন হলেও করোনা আতঙ্কে ধানকাটা শ্রমিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এসময় ক্ষেতের বোরো ফসল কেটে দিলেন যুবলীগের অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী। শনিবার সকালে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের কৃষক ছিদ্দিকুর রহমানের এক বিঘা জমির পাকা বোরো ধান কেটে দেন তারা।
জেলা যুবলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলুর নেতৃত্বে যুবলীগের নেতা-কর্মী এ ধান কাটায় অংশ নেন। পরে যুবলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলু দলের নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে ধানের আটি বেঁধে মাথায় করে কৃষকের বাড়ি পর্যন্ত পৌছে দেন এবং মেশিনে মাড়াই করে দেন।
জমির মালিক কৃষক ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমিক সঙ্কটের কারনে ক্ষেতের বোরো ফসল কাটার কোন শ্রমিক পাচ্ছিলাম না। এ কথা জেলা যুবলীগের সভাপতিকে জানালে তিনি তার নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এসে আমার এক বিঘা জমির ধান কেটে মাড়াই করে দেন। ওই কৃষক এসময় খুশী হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আগত নেতা কর্মীদের জন্য আশীর্বাদ ও দোয়া কামনা করেন।
যুবলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলু বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারনে কৃষকরা শ্রমিক সঙ্কটের কারণে ধান কাটতে পারছিলেন না। আমারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিমের নির্দেশে কৃষকদের ধান কেটে মাড়াই করে দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা করোনার বিষয় পিরোজপুর জেলা যুবলীগের নেতা কর্মীদের যে ধরনের নির্দেশনা দিবেন আমরা প্রস্তুত রয়েছি সবসময় সেসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ হাকিম হাওলাদার, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি জাহিদ হোসেন পিরু, জেলা যুবলীগ নেতা পারভেজ খান, নাজিরপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি খোকন কাজী, সাধারন সম্পাদক চঞ্চল কান্তি বিশ্বাস, যুবলীগ নেতা ও নাজিরপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জুসহ শেখমাটিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মতিয়ার রহমানসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক নেতা কর্মী কৃষকের ধান কাটায় অংশ নেন।

Comment here