অপরাধ

কদমতলা ইউপি দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর হানাহানি থামছেই নাঃ পাল্টাপাল্টি মামলাঃ গ্রেফতার-৯

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন ঘিরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হানাহানি লেগেই আছে। গত তিন মাসে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ ও হামলায় অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
সর্বশেষ গত শনিবার রাতে কদমতলা বাজারে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ খানসহ উভয় পক্ষের ২০ জন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন সদর থানার পরিদর্শক আবদুস সোবাহান। এ ঘটানায় উভয়পক্ষের আলাদা দুটি মামলা হয়। গ্রেফতার হয় উভয় পক্ষের ৯ জন।
গত ১১ এপ্রিল প্রথম ধাপে কদমতলা ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে করোনা ও লকডাউনের কারণে তা স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সিহাব হোসেন শেখ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে কদমতলা বাজার মসজিদে সিহাব হোসেন তাঁর সমর্থকদের নিয়ে অবস্থান করছিলেন। একই সময় সেখানে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হানিফ খান লোকজন নিয়ে সেখানে যান। এ সময় দুই প্রার্থীর লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন এবং পিরোজপুর সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবদুস সোবাহান আহত হন।
আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতাল ও নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পিরোজপুর সদর হাসপাতাল থেকে আহত মিজান শেখ ও মুনান খানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পিরোজপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক তন্ময় মজুমদার বলেন, গুরুতর আহত দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ খান বলেন, ‘নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কদমতলা বাজারে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গেলে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সিহাব শেখ লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেন।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী সিহাব হোসেন শেখ বলেন, ‘শনিবার রাতে নামাজ পড়ার সময় লোকজন আমার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় হানিফ খানের নেতৃত্বে মারধর ও বোমা হামলা করা হয়।’
পিরোজপুর সদর থানার ওসি এ জেড এম মাসুদুজ্জামান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশের পরিদর্শক সোবাহান আহত হন। সংঘর্ষে জড়িত থাকায় উভয় পক্ষের ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে কদমতলা বাজারে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হন। ১৮ মার্চ রাতে নিকারিরহাটে সিহাব হোসেন শেখের লোকজনের হামলায় হানিফ খানের তিন সমর্থক আহত হন।

Comment here