ইন্দুরকানী

ইন্দুরকানীতে ত্রাণ নিয়ে অনিয়ম, যুবলীগ নেতাকে মারধর

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ত্রাণ দেওয়ার কথা বলে টাকা আদায়ের অভিযোগ এনে পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে একরামুল শিকদার (৪৫) নামে এক যুবলীগ নেতাকে মারধর করেছেন আরেক যুবলীগ নেতা।বৃহস্পতিবার(৭ মে) দুপুরে উপজেলা পরিষদের ভবনের দোতালায় বসে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার একরামুল শিকদার উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের মৃত বাতেন শিকদারের ছেলে। আর হামলাকারী যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম মিন্টু একই ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বলে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মাতুব্বর সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি (যুবলীগ সভাপতি) জানান, হামলার সময় তিনি সেখানে ছিলেন না। পরে গিয়ে দু’জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুনেছেন।
হামলার শিকার যুবলীগ নেতা একরামুল শিকদার জানান, হামলাকারী যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম মিন্টুকে স্থানীয় এমপি একটি ত্রাণে ঘর দেন। সেই ঘর তিনি তার ভাই মেহেদী হাসান বুলবুলের কাছে বিক্রি করেন। এ নিয়ে তার কাছে গত সপ্তাহ খানেক আগে জানতে চাইলে তিনি (মিন্টু) আমাকে (একরামুল) দেখিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আমাকে উপজেলা পরিষদের ভিতর একা পেয়ে মারধর করে। তিনি আরো বলেন, আমি ভোরের কাগজ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ও। এ বিষয় আমি হামলাকারী সাইফুল ইসলাম মিন্টুর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে হামলাকারী সাইফুল ইসলাম মিন্টু জানান, যুবলীগ নেতা একরামুল শিকদার উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে ত্রাণ দেওয়ার কথা বলে উপজেলার বিভিন্ন বিত্তশালীদের কাছ থেকে দলীয় সাহায্য বাবদ মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন। এছাড়া রেশন কার্ড দেওয়ার নামে টাকা নেওয়া সহ মরা গরু বিক্রির দায়ে এক মাংস বিক্রেতার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা নেন। এসব বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এ ঘটনার জের ধরে তাকে লাঞ্চিত করা হয়েছে। তবে মারধরের কথা সঠিক নয়।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মোঃ হাবীবুর রহমান জানান, ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম মিন্টুর বরিুদ্ধে কিল ঘুষি দিয়ে লাঞ্চিত করার বিষয় হামলার শিকার ইকরামুল শিকদার লিখিত অভিযোগ করেছে।

Comment here