আহাদ শিমুলঃ
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে মানসিক ভারসাম্যহীন প্রসূতি নারীকে নবজাতকসহ উদ্ধার করলেন ইন্দুরকানীর উপজেলা নির্বাহী অফিসার। উপজেলার খোলপটুয়া জাপানী ব্যারাক হাউজ থেকে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ মেডিক্যাল টিম নিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। পরে নিজ গাড়িতে করে মা ও নবজাতককে জেলা সদর হাসপাতালে পৌঁছে দেন। এসময় তার সাথে ছিলেন ডাঃ আমিন উল ইসলাম।
তবে ভবঘুরে ‘পাগলি মা হলেও বাবা হয়নি কেউ’ এমন মন্তব্যের মধ্য দিয়ে আক্ষেপ করেছেন অনেকে। জাপানী ব্যারাক হাউজের বাসিন্দা জলিল জোমাদ্দার জানান, প্রায় এক সপ্তাহ আগে গর্ববতী মানসিক ভারসাম্যহীন নারী (৩৭) আমাদেরএলাকায় আসেন। এখানে সেখানে ঘুরতে থাকেন তিনি। আজ ভোর রাতে আমাদের ব্যারাকের নাসির সিকদারের ঘরের পাশে বসে একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেন। পরে তার চিৎকারে আবাসনের সবাই এগিয়ে আসে। দুইজন নারী নবজাতকের নাড়ি কেটে মা ও সন্তানের প্রাথমিক পরিচর্চা করেন। নবজাতকটি বিক্রি করার জন্য স্থানীয় একটি মহল পায়তারা চালায়। লাখ টাকা দেন দরবারও হয়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে এসে নিজ গাড়িতে করে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর সন্তান প্রসবের খবর পেয়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। তাদেরকে উদ্ধার করে সিভিল সার্জনকে বিষয়টি অবগত করি। পরে আমার গাড়িতে করে তাদের চিকিৎসার জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালে গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তির ব্যবস্থা করি।
সকাল থেকেই বাচ্চাটি নেওয়ার জন্য বহু মানুষ পায়তারা করতে থাকে। মা মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় বাচ্চাটি হারিয়ে যাওয়ার ভয় ছিলো। মা ও নবজাতক এখন অনেকটা সুস্থ আছে।
Comment here