অনলাইন ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশব্যাপী চালু হওয়া ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম স্থগিত করেছে সরকার। এই চাল কিনতে দীর্ঘ লাইন এবং তাতে করোনাভাইরাস বিস্তারের শঙ্কা বাড়ে বলে এই কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করা হয়েছে বলে খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম জানিয়েছেন।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) তিনি বলেন, এই চাল কিনতে কোনো ধরনের কার্ডের বাধ্যবাধকতা না রাখায় অনেক মানুষ চাল কিনতে ভিড় জমাচ্ছিলেন। এর মাধ্যমে করোনাভাইসার ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই আপাতত এই কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরে এই বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম আবার শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত ২৬ মার্চ থেকে দেশের সব অফিস-আদালত এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ। সরকারের ভাষায় এই ‘সাধারণ ছুটিতে’ মানুষের ঘরবন্দি দশা চলবে অন্তত ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এই সময় বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। ফলে বেশিরভাগ শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে গত ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওএমএস খাতে ভোক্তা পর্যায়ে ৩০ টাকা কেজি দরের চালের দাম ১০ টাকা নির্ধারণের ঘোষণা দেন। পরে খাদ্য মন্ত্রণালয় বিশেষ ওএমএসের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির কার্যক্রম শুরু করে।
সপ্তাহে প্রতি রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এই চাল বিক্রি চলছিল। একজন ভোক্তা সপ্তাহে একবার পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারতেন। তবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই চাল কালোবাজারে বিক্রি এবং কয়েকটি জায়গায় আত্মসাৎ করে চালসহ কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন। খাদ্য সচিব জানান, মহানগরে বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম গত ৫ এপ্রিল এবং সারা দেশে ৭ এপ্রিল শুরু হয়ে দুই দিন করে চলে। মহানগরীতে দুই দিন এই চাল বিক্রির পর ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে বিক্রি বন্ধ রাখা হয়। এরপর যখন মফস্বলে বিক্রি করতে যাই তখন দেখলাম অনেক গ্যাদারিং হয়। যিনি আজকে কিনছেনে তিনি পরের দিনও কিনতে আসছেন।
Comment here