নেছারাবাদ/স্বরূপকাঠি

স্বাস্থ্য বিধি উপকরণ কেনার টাকা কোষাগারে ফেরত

স্বরূপকাঠি প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের স্বরুপকাঠি উপজেলার ৩১৭ হাজার জনগনের জন্য করনাকালীন স্বাস্থ্য বিধির উপকরণ কেনার জন্য সরকারি বরাদ্ধের অর্থ কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় কোষাগারে ফেরত চলে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে স্বরুপকাঠি উপজেলায় একাধিক করোনা রোগী সনাক্ত হলেও উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে সমন্বয়হীনতায় এ টাকা নির্দিষ্ট সময় গরীব ও সাধারণ জনগণের জন্য খরচ না করায় তা কোষাগারে ফেরত চলে যায় বলে জানান উপজেলা প্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা।
তবে বিষয়টির ব্যাপারে উপজেলার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা একে অন্যের উপর দোষ চাপালেও প্রান্তিক জনগন বঞ্চিত হয়েছে মহামারি করোনারোধ কল্পে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য সরকারের বরাদ্ধ জীবানুনাশক, ব্লিচিং পাউডার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লোবস,মাস্ক ও এন্টিসেপটিক সাবান থেকে।
জানা যায় ২০১৯/২০ অর্থ বছরে এডিপির মাধ্যমে স্বরুপকাঠির জন্য ৪ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা বরাদ্ধ করা হয় গরীব ও সাধারন মানুষদের স্বাস্থ্য উপকরন কেনার জন্য। চলতি বছরের মে মাসে বরাদ্ধকৃত এ অর্থ দিয়ে ৩০ জুনের মধ্যে উল্লেখিত স্বাস্থ্য উপকরণ কেনার কথা থাকলেও তা কিনতে সম্পূর্ন ব্যর্থ হয় সরকারি এবং নির্বাচিত প্রশাসন। এ ব্যাপারে প্রকল্পের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ আব্দুল হক বলেন, সাবেক ইউএনও ও উপজেলা প্রকৌশলীকে এ টাকার যথার্থ ব্যবহারের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছিলাম। কিন্ত এ প্রকল্প কাগজেই সিমাবদ্ধ থাকে। কিন্ত কি কারনে এরা কাজ করেনি সেটা আমার জানা নেই।
বিষয়টি নিয়ে এ প্রকল্পের সদস্য সচিব ও উপজেলা প্রকৌশলী মীর আলি সাকিরের ০১৭০৮১৬১২৩৪ নম্বরের বার বার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে বর্তমান ইউএনও মোঃ মোশারেফ হোসেন বলেন, এটায় সাধারন মানুষের বঞ্চিত হওয়ার বিষয় নয়। টাকাটা ব্যবহার করা হয়নি তাই ফেরত গেছে। করোনা উপলক্ষে এ উপজেলায় অন্য অনেক বরাদ্ধ এসেছে। সেগুলা ব্যবহার হচ্ছে। তবে সময়মত কেন এই টাকাটা খরচ হয়নি সেটা চেয়ারম্যান ও প্্রকৌশলী সাহেবেই বলতে পারবেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট ফুয়াদ হোসেন বলেন, কোনো সরকারি প্রকল্পের টাকা ফেরত যাওয়া কোনোভাবেই ওই অঞ্চলের জন্য সুখকর নয়। এটা দল ও উপজেলার সমগ্র বসতির জন্যই ক্ষতিকর। তবে বড় প্রকল্প ছাড়া ক্ষুদ্র কোনো প্রকল্পে আমাদেরকে জানানো হয় না। তাই এ বিষয়টিও সাংবাদিকের মাধ্যমে জানলাম। এটা গরীব মানুষের হক নস্ট করা বৈ আর কিছু নয়।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুইদুল ইসলাম মুহিদ বলেন, উপজেলা অফিস ও চেয়ারম্যান সাহেবের সুবিধা নেয়ার দ্বন্ধে সরকারের এ বরাদ্ধগুলো গরীব ও সাধারণ মানুষের কল্যানে ব্যবহার না হয়ে ফেরত যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন সাধারন মানুষ ও দলের স্বার্থে উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেবের উচিৎ ছিল এ টাকার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে মানুষের উপকার করা।

Comment here