ভান্ডারিয়া

ভান্ডারিয়া ভূমি অফিসের দুই অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ

ভান্ডারিয়া প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসের দুই অফিস সহকারী সুভ্রত অধিকারী ও উপ-সহকারী রতন কুমার পাইক এর বিরুদ্ধে অর্ধ লক্ষধিক টাকার উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারের সুবিচার চেয়ে উপজেলা নদমূলা গ্রামের হাজী আঃ গফ্ফার গাজীর ছেলে মো. লিটন হোসেন এক লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানাগেছে, একটি নামজারি (মিউটিশন) কেস বাবদ অফিস সহকারী সুভ্রত অধিকারী ও উপ-সহকারী রতন কুমার পাইক তার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করে মিউটিশন না করে আজ-কাল বলে ঘুরাতে থাকে এবং কবে মিউটিশন পাবে জানতে চাইলে সুভ্রত অধিকারী মোবাইল ফোনে আরও ১০ হাজার টাকা দাবী করে।
এ ঘটনার পিরোজপুর জেলা প্রশাসক বরাবরে সু-বিচার দাবী করে মো. লিটন হোসেন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। জেলা প্রশাসক তৎক্ষনিক জরুরী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)কে নিদের্শন প্রদান করেন।
লিখিত অভিযোগে আরো জানা যায় ৩ মাস আগে একটি নামজারি (মিউটিশন)কেস বাবদ ৪০ হাজার টাকা গ্রহন করে। এমনকি সুব্রত অধিকারী মোবাইল ফোন ব্যবহার করে লিটনের কাছে পরে আরো ১০ হাজার টাকা দাবি করে মুঠোফোনে সুব্রত অধিকারী এসব কথোপকথন রেকর্ড হয়ে যায় বলে জানা গেছে। বিষয়টি প্রকাশ হলে ভুক্তভূগী লিটনকে অফিসে ডেকে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য অনুরোধ করে সুব্রত অধিকারী। একটি মহল জানায় এ অফিসের দুই/তিনজন কর্মচারী টাকা ছাড়া জনসাধারণে সাথে কথা বলে না। তাদের গোপনে বিভিন্ন কৌশলে তদন্তসহ অফিসের কর্মকর্তার বাহিরে এসকল অনিয়ম হরহামেশা করে থাকে এসকল কর্মচারীরা । ভূমি অফিসের কিছু কর্মচারী ও কর্মকর্তা ভাল থাকলে ওই সকল অসৎ কর্মচারীদের কারণে অফিসের সুনাম খুন্ন হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে।
এ বিষয়ে অফিস সহকারী সুভ্রত অধিকারী মুফোফেনে ঘটনা অস্বীকার করে বলেন এটি অর্পিত সম্মত্তি ”ক” তালিকা ভুক্ত হওয়ায় সহকারী কমিশনার (ভুমি) এটি খারিজ করে দেন। খারিজ হওয়ার কারনণ তারা মিথ্যা অভিযোগ করেন।

Comment here