পিরোজপুর সদর

শরীরে কোভিড-১৯ নিয়ে পিরোজপুরের চালিতাখালী গ্রামের যুবক এলাকায় মাছ ধরেছে এবং ফুটবল খেলেছে স্থানীয় যুবকদের সঙ্গে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
শরীরে কোভিড-১৯ নিয়ে সতেরো দিন পিরোজপুর সদর উপজেলার শিকদারমল্লিক ইউনিয়নের পশ্চিম চালিতাখালী গ্রামের এক যুবক এলাকায় মাছ ধরেছে এবং স্থানীয় যুবকদের সঙ্গে ফুটবল খেলেছে। কিন্তু কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত তা জানা গেল বর্মস্থলে ফেরার পর। তিনি একজন পোশাককর্মী। যিনি এখন আশুলিয়ায় অবস্থান করছেন।-খবর বিডি নিউজ।

এ বার্তা সংস্থা জানায়,পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডা. হাসনাত ইউসুফ জাকী বলেন, গত ২২ এপ্রিল করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য ওই যুবকের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সোমবার রাতে নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে ওই যুবকের কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে। ২৮ বছর বয়সী ওই যুবকের বাড়ি পিরোজপুর সদর উপজেলার শিকদারমল্লিক ইউনিয়নের পশ্চিম চালিতাখালী গ্রামে। তিনি ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় একটি মেসে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তিনি গত শনিবার (২৫ এপ্রিল) কাজে যোগ দিতে আশুলিয়ায় ফিরে যান এবং সেখানেই অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। ওই যুবকের গ্রামের বাড়িসহ পাশের আরেকটি বাড়ি অবরুদ্ধ করা হয়েছে বলে পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম বাদল জানান। ছেলেটির বাবা বলেন, তার ছেলে গত শনিবার আশুলিয়ায় কারখানায় চাকরিতে যোগ দিতে বাড়ি থেকে চলে গেছে।

কোভিড-১৯ শনাক্ত ওই যুবকের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিনি শারিরীকভাবে সুস্থ অবস্থায় গত ৮ এপ্রিল ঢাকা থেকে পিরোজপুরে রওনা দিয়ে পরদিন সকালে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছান। পরে স্থানীয় লোকজনের পরামর্শে তিনি বাড়িতেই ছিলেন। এরপর ২২ এপ্রিল পিরোজপুরে থেকে ডাক্তার গিয়ে তার নমুনা সংগ্রহ করে। ওই সময় তিনি কোনো রকম অসুস্থ ছিলেন না।

তিনি বলেন, “তাই ২৫ এপ্রিল গার্মেন্টসে চাকরিতে যোগ দিতে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় আসি। সেদিন রাতেই পিরোজপুর থেকে পুলিশ ফোন করে জানায়, আমার করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে। তাই আমাকে ঘরে থাকতে হবে। এরপর থেকে আমি ঘরেই আছি। অফিসেও বিষয়টি জানিয়েছি।”
বর্তমানে শারীরিক ভাবে সুস্থ রয়েছেন এবং তার কোনো জ্বর, গলা ব্যাথা, সর্দি, কাশি বা করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ নাই বলে জানান ওই যুবক।
তার গ্রামের জামাল সিকদার বলেন, “ওই যুবক এলাকায় এসে মানুষের সঙ্গে মাছ ধরেছে এবং স্থানীয় যুবকদের সঙ্গে ফুটবল খেলাসহ নিয়মিত চলাচল করেছে। তাই এ বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু প্রশাসন মাত্র দুইটি বাড়ি লকডাউন করেছে এতে করে এলাকায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “ছেলেটি আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় যে বাড়িতে থাকে, মঙ্গলবার সকালে সেটি অবরুদ্ধ করা হয়েছে।”

Comment here