আহাদ শিমুলঃ
উত্তম ঋষি হরিজন সম্রদায়ের লোক। পিরোজপুরের ইন্দুরকানী বাজারে জুতা সেলাইয়ের কাজ করে সংসার চলে তার। উপজেলা আওয়ামীলীগ অফিসের টিনের সাথে ছাপরা দিয়ে একটি বাক্স নিয়ে চলে তার জীবিকার দোকান।
ইন্দুরকানী লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় মা, স্ত্রী সন্তান নিয়ে একটি টিনের ঝুপড়ি ঘরে থাকতেন উত্তম দাস। তার সেই ঘরটিও বুলবুলের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এখন সে জরাজীর্ণ ঘরে পলিথিন দিয়ে কোন ভাবে দিন কাটছে উত্তমদের। ঘর করার মত কোন উপায় নেই তাদের। বর্তমানে করোনা দূর্যোগে জুতা সেলাই আর কালির কাজ বন্ধ। আয়-রোজগার নেই। খুবই মানবেতর জীবন-যাপন করছেন উত্তম দাস। এ দূর্যোগে কেউ তাদের জন্য তেমন কোন সাহায্য নিয়ে আসেনি।
গতরাতে আলাপকালে উত্তম জানান, এখন তার ঘরে দুইশ টাকাও নেই। যা ছিল তা দিয়ে এতো দিন বাজার সদায় করেছেন। এখন বাকি দিন গুলো তার কেমন করে কাটবে ভেবে ঘুম হয় না। বর্তমানে বৃষ্টিতে ভাঙ্গা ঘরে বৃদ্ধ মা ও শিশু সন্তান নিয়ে থাকা যাচ্ছে না কিছুতেই। তাই উত্তমের কাছে কোন কিছুই আর উত্তম মনে হয় না। সব কিছু্ই বিষাদময়।
Comment here