জানা-অজানা

মৃত্যুর শেষ ক্ষণেও ফজলুল হক খোকন স্বৈরাচারী গণহত্যাকারীদের প্রতিবাদ করে গেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
৫ মে ছিল পিরোজপুর এর বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ফজলুল হক খোকনএর ৪৯ তম শাহাদত বার্ষিকী। ফজলুল হক খোকন ১৯৭১ সালের এই দিনে (৫ই মে ) শহীদ হন । তার আরো তিন সাথী পূর্নেন্দু সরকার (বাচ্চু), জাহাঙ্গীর আলম ও কৃষ্ণ রঞ্জন (কেষ্ট) কে এক সাথে পিরোজপুরের বালেশ্বর নদীর ঘাটে জেটির উপরে দাঁড় করিয়ে পাকিস্তানি সেনারা গুলি করে হত্যা করে।
গুলি করার আগে পাকিস্তানি হায়নার দল পিছন দিক থেকে গুলি করতে চাইলে খোকন রাজি হয়ননি। সে বলেছেন “আমার বুকে গুলি করতে হবে”। এভাবে দু’বার তাকে ঘুড়িয়ে দিলেও খোকন বুক চিতিয়ে ফিরে দাঁড়ান। তখন বাধ্য হয়ে পাক হানাদাররা তার বুকেই গুলি করে। এভাবে মৃত্যুর শেষ ক্ষণেও ফজলুল হক খোকন স্বৈরাচারী গণহত্যাকারীদের প্রতিবাদ করে গেছেন। তিনি ছিলেন স্বাধীনতার পূর্বাপর তরুণদের প্রথম আইডল।
জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ। সংগ্রাম পরিষদের জনসভা চলছিল গোপাল কৃষ্ণ টাউন ক্লাব মাঠে। এই সভায় তদানীন্তর এম, এন,এ অ্যাডভোকেট এনায়েত হোসেন খান ঢাকায় পাকিস্তানি সৈন্যদের নৃশংস, নির্মম হত্যাকান্ডের বিবরণ দিয়ে ভাষণ দেয়ার সময় স্বাধীনতাকামী উপস্থিত জনতা উত্তেজিত হয়ে ‘ অস্ত্র চাই অস্ত্র চাই’ ধ্বনি দিতে থাকলে তিনি জনতাকে আশ্বস্ত করে বলেন আজ এখনই অস্ত্রাগার লুন্ঠন করে তোমাদের হাতে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য অস্ত্র তুলে দেয়া হবে। বক্তব্য শেষ হওয়ার সাথে সাথে উত্তেজিত জনতা অস্ত্রাগারের দিকে এগিয়ে যান। পিরোজপুরের মহকুমা প্রশাসকের অফিস সংলগ্ন অস্ত্রাগারটি লুণ্ঠনে নেতৃত্ব দেন অ্যাডভোকেট এনায়েত হোসেন খান, ডাঃ আব্দুল হাই, ডাঃ ক্ষিতীশ চন্দ্র মন্ডল, অ্যাডেভোকেট আলী হায়দার খান ও ছাত্র ইউনিয়ন মেমন গ্রুপের ফজলুল হক খোকন।

 

Comment here