বিশেষ প্রতিবেদন

মাএ বিশ মিনিটেই মেয়েটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম

বিশেষ প্রতিবেদক:
পিরোজপুরের নাজিরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সমকালের নাজিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি ফিরোজ মাহমুদ শুক্রবার রাত ১১ টা ১৯ মিনিটে ‘অমানবিক’ শিরোনামে তার ফেসবুক ওয়ালে একটি পোষ্ট দেয়। ওই পোষ্ট দেয়ার মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি শতভাগ দায়িত্বশীলতার সাথে অমানবিকতার শিকার অসহায় গার্সেন্টসকর্মী লতা আক্তারের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন।
মেয়েটির শরীরের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে ডা.ফজলে বারী জানান, মেয়েটির শরীরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোন লক্ষণ নেই তবে সে একিউট টন্সিলাইটিসের সমস্যা ভুগছেন। এ সময় তিনি আরো জানান, পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত মেয়েটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকবেন।
সাংবাদিক ফিরোজ মাহমুদের ফেসবুকে দেয়া পোষ্টটি হুবহু পাঠকের সামনে তুলে ধরা হলো- “অমানবিক”
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শাখারীকাঠী ইউনিয়নের ভাইজোড়া গ্রামের মনসুর শেখের মেয়ে লতা আক্তার (২০) জীবিকার তাগিদে ঢাকায় একটি গামেন্টসে চাকুরী করে। শারিরীক অসুস্থতা নিয়ে (জ্বর, কাশি, গলা ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট) আজ শুক্রবার ৩ এপ্রিল সদ্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা থেকে ভাইজোড়া ষ্ট্যান্ডে নেমে পিতার বাড়ীতে ঢুকতে গেলে তার শারিরীক অসুস্থতা দেখে করোনা আতংকে তার আত্মীয় স্বজনরাই তাকে বাড়ীতে ঢুকতে দেয়নি। তাদের এক কথা আগে চিকিৎসা করাও তার পরে বাড়ী আসো। মেয়েটির অসহায় মা-বাবা তাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় মাটিভাঙ্গা বাজারে জনৈক পল্লী চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি তার চিকিৎসা না করে ফিরিয়ে দেন। পরে মেয়েকে নিয়ে তার মা-বাবা একই গ্রামে নানা বাড়ীতে রাত কাটাতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছে। সেখানেও স্থানীয়রা তাকে ওই বাড়ীতে ঢুকতে দেয়নি। বিষয়টি স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান প্রশাসনকে অবগত করলেও তাদের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এভাবে সেই সন্ধ্যা থেকে অসহায় মেয়েটিকে নিয়ে তার বাবা মা রাত ১০টা পর্যন্ত রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো পরে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খালিদ হোসেন সজলের সহায়তায় রাত ১১ টায় নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয় মেয়েটিকে। অবশেষে মেয়েটির যেখানে আসার কথা সেখানেই এসে পৌছেছে। এখন অপেক্ষার পালা, দেখা যাক কি হয়! বিস্তারিত নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খালিদ হোসেন সজল।
বাস্তবতা হলো মেয়ে যদি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েও থাকে সে জন্য তো সে দায়ী নয়। তাহলে কেন আমরা তাকেসহ তার পরিবারকে সেই সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত হয়রানী করেছি। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরিয়েছি। তাছাড়া যদি আক্রান্ত হয়েই থাকে তাহলে আক্রান্ত মেয়েটি এই কয়েক ঘন্টা দুই তিন গ্রাম ঘুরিয়ে আমরা কার মঙ্গল করেছি। ….।
সাংবাদিক ফিরোজ মাহমুদের এফবি আইডতে এ পোষ্ট দেখে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপির নজরে আসলে তিনি মেয়েটির দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

Comment here