মঠবাড়িয়া

মঠবাড়িয়ায় দখল-দূষণে মরছে খাল

শটবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রের খালটি প্রভাবশালীদের দখলে সংকুচিত হয়ে নাব্যতা সংকটে পড়েছে। সেই সঙ্গে খালের দুই তীর সংশ্লিষ্ট জনবসতির ময়লা, পৌর শহরের বর্জ্যসহ অসংখ্য বাসাবাড়ির শৌচাগারের পাইপ সংযোগ থাকায় খালের পানি দূষিত হয়ে পড়ছে।সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মঠবাড়িয়া পৌর শহরের খালটি চারটি শাখা খালের মোহনাস্থল। মঠবাড়িয়া-আন্ধারমানিক খালের এক কিলোমিটার, মঠবাড়িয়া-বহেরাতলা খালের এক কিলোমিটার, মঠবাড়িয়া-মাছুয়া খালের দেড় কিলোমিটার ও মঠবাড়িয়া-গুলিসাখালী খালের দুই কিলোমিটার এলাকার দুই তীরজুড়ে দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছে এক শ্রেণির প্রভাবশালীরা। শহরের চৌমোহনা খালের চারপাশজুড়ে দখলদাররা নির্বিঘ্নে খালের ভেতর পাকা স্থাপনা গড়ে তুলে প্রথমে মোহনা সংকুচিত করে ফেলে। ওই মোহনার গুলিসাখালী খালের মোহনায় কয়েক বছর আগে পাউবো একটি সংকুচিত স্লুইস গেট নির্মাণ করে। তা ছাড়া ওই একই খালের থানাপাড়া এলাকার টিকিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের কাছে ১৫ বছর আগে বাঁধ দিলে মঠবাড়িয়া-গুলিসাখালী খালটির পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। ভুক্তভোগী পৌরবাসীর অভিযোগ, সরকার আসে সরকার যায়, কিন্তু খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে কেউ কোনো ব্যবস্থা নেয় না। আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রভাবশালীরা খাল দখলে নিয়েছে। প্রশাসনের নজরদারি এবং অভিযান না থাকায় এই খাল চারটি বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। মঠবাড়িয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সালেক বলেন, ‘অবৈধ স্থাপনা যখন যেখানে সামনে পড়ে, এর বিরুদ্ধে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। শহরের মধ্যে খালগুলো দূষণমুক্ত করতে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে।’মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি এম সরফরাজ বলেন, মঠবাড়িয়া পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রের তিনটি খাল উদ্ধার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন ও বরাদ্দ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comment here