ব্রেকিং নিউজ

ভারত থেকে করোনা পজিটিভ নিয়ে ফিরলেন ১৩ বাংলাদেশি

অনলািইন ডেস্কঃ
১৪ দিনের ভারত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ৭ মে পর্যন্ত ভারত থেকে ফিরেছেন দুই হাজার ৪৭৫ জন বাংলাদেশি যাত্রী। এদের মধ্যে ১৩ জন ছিল করোনা পজিটিভ। আক্রান্তরা ভারতে গিয়ে সংক্রমণের শিকার হয়। করোনা পজিটিভ যাত্রীদের যশোর সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের রেড জোনে রাখা হয়েছে।
আজ শনিবার (৮ মে) যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইউছুফ আলী এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে চিকিৎসা শেষে ভারত ফেরত অসহায় যাত্রীদের ভোগান্তি ও অর্থ খরচ কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন যশোরের শার্শা উপজেলা প্রশাসনের করোনা প্রতিরোধ কমিটি। জটিল রোগে আক্রান্তদের হাসপাতালে কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থাসহ যানবাহন ও হোটেল খরচ সাশ্রয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হোটেল ভাড়া অর্ধেক নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে হোটেল মালিকদের। ইমিগ্রেশনে দালাল শ্রেণির বহিরাগতদের প্রবেশ রোধেও জারি করা হয়েছে বিশেষ সতর্কতা। সকালে বেনাপোল বন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ও ইমিগ্রেশন ভবনে সাঁটানো যাত্রী সুবিধার এমন নোটিশ চোখে পড়ে।
ভারত ফেরত যাত্রী জহিরুল ইসলাম জানান, যাত্রীদের ভোগান্তি ও হয়রানি রোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাতে অনেকটা তারা উপকৃত হবেন। চলমান ক্রান্তিকাল সময়ে এ নির্দেশনা বহাল রাখার আহ্বান জানান যাত্রীরা।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার বিচিত্র মল্লিক জানান, গতকাল (শুক্রবার) ভারত থেকে ৩১৮ জন ফিরেছেন। এর মধ্যে পাঁচজন ছিল করোনা পজিটিভ। এরা ভারতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হন। আক্রান্ত যাত্রীদের যশোর সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের রেড জোনে ও সাধারণ যাত্রীদের যশোর, খুলনা, ঝিনাইদহ ও সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন আবাসিক হোটেল এবং জটিল রোগে আক্রান্তদের ১৪ দিন হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিইনে রাখা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন খরচ গত বছর সরকার বহন করলেও এবার যাত্রীদের নিজেদের ব্যয় করতে হচ্ছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব জানান, ভারতের করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট রোধে বাংলাদেশ সরকার গত ২৬ এপ্রিল থেকে ১৪ দিনের ভ্রমণ সীমান্ত পথে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর মধ্যে নতুন করে কোনো পাসপোটধারী যাত্রী দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেনি। তবে নিষেধাজ্ঞার আগে যারা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আটকা পড়েছিল তারা ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাসের ছাড়পত্র নিয়ে দেশে ফিরছেন।

Comment here