রাজনীতি

বাতিল হচ্ছে কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের কমিটিঃ পরিবর্তন আসছে জেলা উপজেলা কমিটিও

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বর্তমান পাপিয়া কেলেঙ্কারিতে খড়গ নেমেছে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের ওপর। আর এর প্রভাব পড়েছে জেলা-উপজেলা কমিটিতেও। বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার এবং সাধারণ সম্পাদক অপু উকিলকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছেন সাংবাদিকদের। এ ব্যাপারে দলের সাধারণ সম্পাদককেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে অন্য একটি সূত্র বলছে, যে শুধু সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকই নয়, দ্রুত একটি আহ্বায়ক কমিটি করে ১২১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলোপের বিষয়টিও ভাবা হচ্ছে। আজকালের মধ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। সেই সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন সাপেক্ষে চূড়ান্ত হবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের জুলাই মাসে ১২১ সদস্যের যুব মহিলা লীগ গঠন করা হয়েছিল। যুব মহিলা লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ অনেকদিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ের প্রেক্ষিতে পাপিয়ার এই ঘটনার পর যুব মহিলা লীগের কমিটি বাতিলের ঘটনাটি সামনে এসেছে।
এ দুজনের ওপর সাধারণ নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ। তাদের নেতৃত্বের ব্যর্থতা নিয়ে আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ে আলোচনা চলছে। বিষয়টি আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারনী পর্যায়কে জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। অবশ্য এরই মধ্যে পাপিয়াকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে, যুব মহিলা লীগকে শিগগিরই ঢেলে সাজানো হতে পারে। সে ক্ষেত্রে নাজমা আক্তার ও অপু উকিলেরও অন্য দুই সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের মতো ভাগ্য বরণ করতে হতে পারে।
এদিকে পাপিয়া কেলেঙ্কারিতে প্রভাব পড়েছে জেলা-উপজেলা কমিটিতেও। অনেকে পদ-পদবিতে থেকেও দলে কোন কাজ না করে ব্যক্তি বন্দনা,নীতি নৈতিকতাহীন কর্মকান্ড সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে অশোভন ও চাটুকারিতা বিষয়ক পোষ্ট দিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষন্ন করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া কতিপয় নেত্রী পদে থেকে কর্মীদের অবমূল্যায়ন এবং দলকে দ্বিধাভিবক্ত করে দলীয় কর্মকান্ড স্থবির করারও অভিযোগ পাওয়া যায়। ফলে এখানেও পরিবর্তনের আভাস পাওয়া গেছে।

Comment here