কাউখালীকৃষি ও শিল্প

কাউখালীতে আমনের বীজ রোপনে ব্যস্ত কৃষকরা

কাউখালী প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় বর্তমানে আমন ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আষাঢ়ের অনাবৃষ্টির কারণে আমনের আবাদ নিয়ে বিপাকে পরেছিল চাষিরা। তবে শ্রাবণ মাসের শুরু থেকে ভাদ্র মাসের প্রথম পর্যন্ত কাঙ্খিত বৃষ্টির দেখা মিলেছে এই উপজেলায়।
শ্রাবণের বর্ষায় আকাশের ভারী বর্ষণ পেয়ে আমন চাষাবাদের এই ভরা মৌসুমে বুক ভরা আশা নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন চাষিরা। আর আমনের জমিতে চাষাবাদেই এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। তবে এক সঙ্গে জমি চাষাবাদের কারণে বেড়েছে গেছে শ্রমিকের মজুরি। এই নিয়ে কিছু কিছু কৃষকের মধ্য রয়েছে কিছুটা হতাশাও।
কৃষকরা রোপা আমন ধান চাষের জন্য জমি তৈরি ও বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন করে ধান লাগাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, ধান চাষ সফল করতে আধুনিক চাষ পদ্ধতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
এ বছর আমনের আবাদে প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। শ্রমিক হানিফ মিয়া বলেন, তার দলে ৮ জন শ্রমিক আছে। হঠাৎ বৃষ্টিতে কাজের চাপ বেড়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ৪০০০ টাকা চুক্তিতে তারা চারা রোপন করে থাকে।
এ দিকে আগামি অল্প কিছু দিনের মধ্যেই আমন রোপনের উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের সকল জমিতে কাজ শেষ হবে বলে জানান কৃষকরা।
কাউখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলী আজিম শরীফ জানান, কাউখালীতে চলতি আমন মৌসুমে ৪ হাজার ৪শ হেক্টর জমিতে আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর আমনের চারা তৈরি করা হয়েছে ৭৯০ হেক্টর জমিতে। যা গেল বছরের তুলনায় অনেক বেশি। তিনি আরো জানান, কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিরলসভাবে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। বন্যা বা আপদকালে যাতে আমনের চারা সংকট না হয়, সেজন্য চারা তৈরি করে রাখতে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এদিকে আমন ধান ঘরে ওঠা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবং বড় কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বিপর্যয় না হলে আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে এ উপজেলায়। তাতে নির্ধারণকৃত লক্ষমাত্রা শতভাগ অর্জিত হবে বলে আশাবাদী এই কর্মকর্তা।

Comment here