নেছারাবাদ/স্বরূপকাঠি

প্রেমের টানে কলকাতার মেয়ে সুস্মিতা এখন স্বরূপকাঠী

স্বরূপকাঠী প্রতিনিধিঃ
প্রেমের টানে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন সুস্মিতা নামে এক তরুণী। কলকাতার বেলুর থেকে এসেছে সুস্মিতা। কোন রকম পাসপোর্ট ছাড়াই যশোরের বেনাপোল হয়ে দালাল চক্রকে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে সুস্মিতা।
জানাযায়, সুস্মিতা সঙ্গে চার বছর থেকে ফেসবুকে পরিচয় হয় খাইরলের। স্বরূপকাঠী উপজেলার মাহমুদকাঠী সোলায়মানের ছেলে খাইরুল তার বাবা সোলায়মানের সাথে কুমিল্লায় খাবার হোটেলের ব্যবসা করে। সেখানে বসেই দুজনার সাথে ফেইজবুক থেকে পরিচয়। দীর্ঘ চার বছর ধরে বার্তা আদান প্রদানের মাধ্যমে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গভীর প্রেমে পরিণত হয়। সুস্মিতার বাবা মা সেই দেশে সুস্মিতার বিয়ে ঠিক করলে সেখান থেকে পালিয়ে আসে। বেলুর থেকে বেনাপোলের বর্ডার ক্রোস করে যশোর থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ঢাকার গাবতলিতে আসে। সেখনে পূর্ব থেকেই অপেক্ষারত খাইরুল সুস্মিতাকে নিয়ে চলে যায় কুমিল্লায়, সেখানে দু’জন চার দিন অবস্থান করে। সেখানে বেশিদিন থাকতে না পেরে গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে আসে এবং গ্রামের বাড়ী তিন দিন অবস্থান করার পর বিষয়টি জানাজনি হয়ে গেলে মিডিয়া পর্যন্ত এসে সংবাদ পৌছায়।
এ বিষয় খাইরুলের মা বিষয়টি অস্বিকার করে, পরে খাইরুলের কাছে জানতে চাইলে সে বলে, কৈ কোন মেয়ে আসেনিতো। যখন প্রসাশনের কথা বলা হয় তখন খাইরুলের মা পা জড়িয়ে ধরে এবং বলে ভাই কি করবো বুজতে পারছিনা ছেলের সাথে ফেইজবুকে পরিচয়। বাড়ী বলছে কলকাতায়, বেলুর শহর থেকে এসেছে। আমরা ওর বাবা মায়ের সাথে কথাও বলেছি তারা বলে সুস্মিতাকে জিজ্ঞাসা করেন ও যদি আসতে চায় তাহলে আমরা গিয়ে নিয়ে আসবো। সুস্মিতার কাছে এবিষয় জানতে চাইলে সে বলে, না আমি ফিরো জাবোনা আমি এখানে থাকবো। কিভাবে পরিচয় হয় জানতে চাইলে সে জানায়, ফেইজবুকে খাইরুলে সাথে আমার চার বছরের সম্পর্ক এবং ম্যাসেঞ্জারেই ওর সাথে কথা হইতো এভাবে একে অপরকে ভালোবেসেছি। তুমি হিন্ধু আর খাইরুল মুসলিম এটা তুমি জানতে? সুস্মিতা বলে আমি সবই জানি ।মুসলিম ছেলের সাথে একটি হিন্ধু মেয়ের বিয়ে হয় কিনা জানতে চাইলে সুস্মিতা বলে, সমস্যা নাই আমি আমার ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম হবো। সুস্মিতা আরো বলে,বাংলাদেশের কৃষ্টি কালচার সম্পর্কে আমি খাইরুলের কাছ থেকে সবকিছু জেনেছি, তাছাড়া খাইরুলের পরিবার সম্পর্কে সব কিছু জেনেই আমি বাংলাদেশে আসি। আমি খাইরুল কে বিয়ে করতে চাই কলকাতায় ফিরে যাবোনা।
পরে এ রিপোর্ট লেখার পূর্ব পর্যন্ত খাইরুল এবং সুস্মিতা সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য জানতে চাইলে খাইরলের বোন বলে ‘তারা কোথয় আছে আমরা জনিনা ওদের মোবাইল বন্ধ আছে বর্তমানে ‘ খাইরুলের বাড়ির আসে পাশে খোজ নিয়ে জানাযায় তারা দুজনে গ্রামে কোথাও লুকিয়ে আছে ।

Comment here