নেছারাবাদ/স্বরূপকাঠি

জোর করে স্ট্যাম্পে টিপসই নেওয়ায় স্বরূপকাঠীর পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে থানায় জিডি

স্বরূপকাঠি প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম কবিরের বিরুদ্ধে শয্যাশায়ী এক বৃদ্ধার কাছ থেকে জোর জবরদস্তি করে স্ট্যাম্পে টিপসই (আঙুলের ছাপ) নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হালিমা খাতুন (৯২) নামের ওই বৃদ্ধা স্বরূপকাঠি থানায় পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম কবিরের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে থানায় এ ডায়েরি করার পরের দিন শুক্রবার রাতে মারা যান ওই বৃদ্ধা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হালিমা খাতুন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জাহিদ হোসেনের মা। হালিমা খাতুন জিডিতে অভিযোগ করেন, তার ২ মেয়েকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে পুত্রবধূ জেবুন্নেছার যোগসাজশে মেয়র কবির জবরদস্তি করে তার কাছ থেকে বৃহস্পতিবার সকালে টিপ সই নিয়েছেন।
গত শুক্রবার বৃদ্ধা হালিমা খাতুনের কন্যা মারুফা বেগম ও মাকসুদা বেগম সাংবাদিকদের কাছে দেয়া এক লিখিত অভিযোগে জানান, তাদের মায়ের সম্পত্তি থেকে দুই বোনকে বঞ্চিত করার জন্য মেয়র কবির তাদের পরিবারে অযাচিত হস্তক্ষেপ করছে। তারা বলেন, মেয়র কবির অসৎ উদ্দেশ্যে জোর করে স্ট্যাম্পে আমার মায়ের টিপ সই নিয়েছেন।
পারিবারিক সূত্রে আরও অভিযোগ ওঠে, মেয়রের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল এ পরিবারের। সেই সুবাদে এ পরিবারের ব্যবসা ও সম্পত্তি আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা নিয়ে মেয়র গোলাম কবির একান্ত পারিবারিক বিষয় অযাচিত হস্তক্ষেপ করা শুরু করেছে।
স্ট্যাম্পেে টিপসই নেবার বিষয় পৌর মেয়র মো. গোলাম কবির সাংবাদিকদের জানান, জোর করে কোনো টিপ সই নেয়া হয়নি। ওই ভদ্রমহিলার ভাগ্নে সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহ আলমের সাথে তিনি ওই পরিবারের পারিবারিক মীমাংসায় উপস্থিত ছিলেন। হালিমা খাতুন তার পুত্রের সম্পত্তি থেকে তার প্রাপ্ত জমি (মায়ের আগে ছেলের মৃত্যুতে প্রাপ্ত অংশ) এতিম নাতিদের স্বেচ্ছায় দান করেছেন।
এর আগে ২০১৭ সালে মে মাসে এক বন কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে মেয়র কবিরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল।

Comment here