কাউখালী

কাউখালীতে পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলঃ ১৫ হাজার পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকের অনেকেই দিশেহারা

কাউখালী প্রতিনিধিঃ
একদিকে করোনাভাইরাস অন্যদিকে পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার ১৫ হাজার পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকের অনেকেই দিশেহারা। মিটারের রিডিং এবং বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে মিল না থাকায় গ্রাহকরা প্রতারিত হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গ্রাহকরা জানান, এ যেন ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’। উপজেলার উত্তর বাজার স্টেশন রোডের মো. ছিদ্দিকুর রহমানের মিটারের রিডিং ও বিল পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, প্রথম ধাপে ১ হতে ৫০ ইউনিট দর ৩.৮৫ টাকা। দ্বিতীয় ধাপে ১ হতে ৭৫ ইউনিট দর ৪.১১ টাকা। তৃতীয় ধাপে, ৭৬ হতে ২০০ ইউনিট ৫.৭২ টাকা। ফেব্রুয়ারি মাসের মিটারে দেখা যায় বিদ্যুৎ বিল সঠিক রয়েছে। এর পরে মার্চ মাস থেকে গ্রাহক ৫০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করলেও বিল দেখানো হয়েছে ১০ ইউনিটের। এপ্রিল মাসে একই পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করলেও ১৫ ইউনিট বিদ্যুতের বিল দেখানো হয়েছে। দুই মাসের বিল অর্থাৎ মার্চ ও এপ্রিল মাসের মিটারে থাকা অবশিষ্ট বিল একত্র করে ১৩৫ ইউনিট দেখানো হয়েছে মে মাসে। এতে করে গ্রাহক প্রথম ধাপের বিদ্যুতের ইউনিট ৩.৮৫ টাকা পরিবর্তে গ্রহকদের ৫.৭২ টাকা করে বিদ্যুৎ বিল তৈরি করে গ্রাহক পর্যায় পাঠানো হয়। তাদের প্রতি ইউনিটে ১.৮৭ টাকা করে অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করতে হয়েছে। গ্রাহকরা জানান, এসব পল্লী বিদ্যুতের কার্যক্রমে প্রতারিত হচ্ছেন তারা। গ্রাহকদের দাবি প্রতি মাসে যতটুকু বিদ্যুৎ তারা ব্যবহার করেছে, সঠিকভাবে ততটুকু ইউনিটের বিল তৈরি করলে তাদের এই অতিরিক্ত ইউনিট প্রতি ১.৮৭ টাকা পরিশোধ করতে হতো না। কেননা ৫০ ইউনিটের মধ্যে থাকলে এভাবে তারা প্রতারিত হতো না। এভাবে উপজেলার অধিকাংশ গ্রাহকের বিদ্যুতের বিল বেশি হওয়ায় তারা হয়রানির শিকার ও অতিরিক্ত টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম (অর্থ) মো. রাজু আহম্মেদ জানান, করোনার কারণে মিটার রিডার অনেকেই মাঠ পর্যায় পরিদর্শন না করে বিল করায় কিছু ভুল ত্রুটি হতে পারে, তবে ৫০ ইউনিটের ব্যবহারকারী গ্রাহকের ১০ বা ১৫ ইউনিট বিল করা এটা আমার বোধগম্য নয়, না জেনে কিছু মন্তব্য করা যাবে না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে হবে।

Comment here