নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পিরোজপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের আলামকাঠী-মুক্তারকাঠী-ব্রাহ্মণকাঠী এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে উভয় পক্ষের ১৯ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে এক নারীসহ ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বুধবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এদের মধ্যে মারাত্মক জখম তিনজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকীদের পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহতদের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে।
পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. একরামুল কবির জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথমে রাত ৮ টার দিকে ব্রাহ্মনকাঠী গ্রামের স্বপন সেখের ছেলে শান্ত (২৪) ও হায়দার সেখের ছেলে সুমন (২৫) এর সাথে মুক্তারকাঠী গ্রামের কুদ্দুস মীরের ছেলে রানা’র (২৫) বাকবিতান্ডা ও মারামারি হয়। এ ঘটনার জের ধরে রাত ৯টার দিকে দুই গ্রুপের লোকজন লাঠি সোটা ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে দুই গ্রুপের কমপক্ষে ১৯ জন আহত হয়েছে।
এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায় গাঁজা খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
সংঘর্ষে আহতরা হলো- রুবেল, লোকমান ওরফে মিলন, মিজান, রুম্মান, রবিউল, রাকিব, মুনান, সুমন, রুমা, জসিম, শান্ত, রানা, রাসেল, ফারুক, রনি, আক্কাস মোল্লা, শাহীন মোল্লা, রফিক ও ইমরান। এদের মধ্যে মারাত্মক আহত রুমা (২৮), পারুক (৩০) ও লোকমান ওরফে মিলন (৩২)কে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পিরোজপুর সদর থানার ওসি নুরুল ইসলাম বাদল জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আহতদের মধ্যে অধিকাংশের শরীর ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। পুলিশ এলাকায় অভিযানে রয়েছে।
পিরোজপুরের আলামকাঠী-মুক্তারকাঠী-ব্রাহ্মণকাঠী এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে জখম- ১৯

Comment here