কাউখালী

কাউখালীতে অন্যের ঘর দখল করতে আ’লীগের দলীয় সাইনবোর্ড ব্যবহারের অভিযোগ

কাউখালী প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের কাউখালীতে দলীয় সাইবোর্ড দিয়ে অন্যের ঘর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে কতিপয় আওয়ামী নামধারী সুবিধাবাদিদের বিরুদ্ধে। আর এ অভিযোগে ভুক্তভোগী ঘরের মালিক কাউখালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী ওই ঘরের মালিকের নাম মো. ইব্রাহিম শিকদার। তিনি উপজেলার শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের ফলইবুনিয়া গ্রামের মৃত খোরশেদ আলী শিকদারের ছেলে। জানা গেছে গত ৭ জুন থানায় দেয়া অভিযোগ দায়ের হলেও রহস্যজনক কারণে সুরহার কোন ব্যাবস্থা করেন নি পুলিশ।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া বাজারের ব্রীজের দক্ষিণ পার্শ্বে স্থানীয় ইব্রাহিম শিকদারের একই মালিকাধীন ৫টি দোকান ঘর রয়েছে। এর মধ্যে ৪টি ঘর ভাড়া দেয়া ও ১টি ওই মালিকের নিজের কাজের জন্য মালামাল ভর্তি করে রাখা রয়েছে। কিন্তু গত ৩ জুন দুপুরে ওই ইউনিয়ন স্বেচ্ছা সেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল শিকদারের নেতৃত্বে স্থানীয় খলিল গাজীর ছেলে পলাশ গাজী, ছিদ্দিক খানের ছেলে মো. বাবু খান, ফারুক শিকদারের ছেলে সজিব শিকদার, মজলু খানের ছেলে মো. শরিফুল খান, বারেক শিকদারের ছেলে মো. ওসমান শিকদার সহ আরো ৭/৮ জন ওই মালামাল ভর্তি ঘরটির তালা ভেঙ্গে তা দখল করে নেন। এসময় ওই ঘরে থাকা কাঠ সহ বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর করে ফেলে দেয়। পরে তা দখল করে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কার্যালয় হিসাবে সাইনবোর্ড সাটিয়ে দেন। আর সেখানে ওই সাইবোর্ডের আড়ালে চলছে মাদক সেবন ও তাস-জুয়ার আসর।
ঘরের মালিক মো. ইব্রাহিম শিকদার অভিযোগে আরো জানান, ওই ঘরটি দখলের আগে ওই স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা ঘরটি তার কাছে ভাড়া চান। না দেয়ার কারণে তরা দলীয় দলীয় সাইবোর্ড দিয়ে ঘর দখলের পরিকল্পনা করে। এ সময় দখল কাজে বাধা দিলে তাকে সহ তার ছেলে রাজু শিকদার ও মেয়ে নাজমা আক্তারকে প্রাণনাশের হুমকী সহ মারধর করতে আসে।
ঘরটি দখলকারী অভিযুক্ত ইউনিয়ন স্বেচ্ছা সেবকলীগের সাধারন সম্পাদক মো. সোহেল শিকদার জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) সমর্থিত শিয়ালকাঠী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন শিকদারের ভাইর ছেলে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সোহেল শিকদার জানান, ওই ঘরের জায়গা নিয়ে ঘরের মালিক দাবী করা ইব্রাহিমের সাথে স্থানীয় এক ব্যাক্তির সাথে বিরোধ রয়েছে। সেই জমি আমাদের কিছু ছোটভাইরা মিলে দলীয় অফিসের জন্য নেয়া হয়েছে। ওই জমির মালিক ইব্রাহিম সিকদার নন।
শিয়ালকাঠী ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মাস্টার মো. মনিরুজ্জামান ওই ঘর দখলের ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানান। তবে সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিন জানান, ওই ঘরটি স্থানীয় এক অসহায় ব্যাক্তির। ওই ঘরটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই লতিফ শিকদার দখল করতে তার ভাইরপো স্বেচ্ছা সেবকলীগের লীগ নেতা সোহেল শিকদারকে ব্যাবহার করেছেন।
তিনি আরো জানান, অন্যের ঘর দখল করে তাতে দলীয় অফিস হিসাবে সাইনবোর্ড সাটানোর ব্যাপারে আমরা পুলিশকে অবহিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছি।
উপজেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি মো. আমিনুল রশিদ মিল্টন জানান, কারো জমি দখল বা কোন অপরাধ করে তা আড়াল করতে দল ব্যবহার করলে তার দায় দল স্বীকার করবে না। এমন জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে আইন-শৃংখলা বাহিনীকে অনুরোধ জানাবো।
এ ব্যাপারে কাউখালী থানা পুলিশের অফিসার ইন চার্জ মো. নজরুল ইসলামের সাথে মুটো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জানতে হবে। পরে জানানো হবে।

Comment here