ব্রেকিং নিউজ

স্বরূপকাঠির বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে হিন্দু পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির সমদেয়কাঠি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ খানের বিরুদ্ধে একটি হিন্দু পরিবারকে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জুলুহার গ্রামের প্রয়াত মুকুন্দ বিহারি মণ্ডলের মেয়ে মিনতি রানী মণ্ডলকে মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানি করাসহ তার পৈতৃক ভিটায় পূজা-পার্বণ করতেও বাধা দিচ্ছেন আব্দুল মজিদ খান। মিনতি রানী মণ্ডল রোববার সকালে পিরোজপুরে প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছেন।
তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, জুলুহার মৌজার হাল জে.এল ৭২ নং জুলুহার মৌজার এস.এ ৯৮ নং খতিয়ানের হাল ১৩১ নং দাগের ৫৫ শতক ভূমিতে সুদীর্ঘ ৫০ বছর ধরে কালী পূজা, দূর্গা পূজাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান করে আসছে। কিন্তু মুকুন্দ ও তার নিখোঁজ ছেলে মনোরঞ্জনের সব জমি ক্রয়ের নামে ভোগদখলে রেখেছেন প্রভাবশালী আব্দুল মজিদ। এখন জমির ওপর থাকা কালী মন্দির ও মুকন্দের সমাধি ভেঙে ফেলার পাঁয়তারা করছেন। গত মঙ্গলবার মিনতি মানত পূজা করার জন্য পৈতৃক ভিটায় কালীমন্দিরে যাওয়ার পর মজিদ এক দল সন্ত্রাসী নিয়ে পূজা করতে বাধা দেন বলে অভিযোগ করেন মিনতি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়প¶কে সরিয়ে দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে মিনতি রানী মণ্ডল অভিযোগ করেন, তাদের বেদখল হওয়া জমি উদ্ধার করে দেওয়ার কথা বলে তার বাবা মুকুন্দ বিহারি কাছ থেকে ১৯৯২ সালে একটি দলিল লিখিয়ে নেন মজিদ। কিছুদিন পর এক দল সন্ত্রাসী এনে মজিদ কুমুদের পরিবারকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। ১৯৯৪ সালে মিনতির ভাই মনোরঞ্জনকে গুম করার অভিযোগে আদালতে মামলা করা হয়। পরে মজিদ সে মামলায় খালাস পেয়ে যান। এখন পর্যন্ত মনোরঞ্জনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। সেই মনোরঞ্জনকে দাতা সাজিয়ে ২০০৫ সালে মজিদ ৫৫ শতাংশ জমির দলিল মূলে মালিকানা দাবি করে মিনতিদের পুরো সম্পত্তি দখল করে নেন। মজিদ তার ছেলে সোহেল খানের নামে করা দলিলে পরিচিতির স্থানে নিজেই স্বাক্ষর করেন। এ বিষয়টি নিয়ে মিনতি আদালতে মামলা করেন। এ ছাড়া মিনতির বড় বোন আরতিকে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে মজিদের বিরুদ্ধে। পরে আরতি মারা যান।

এদিকে গত শুক্রবার বিএনপির সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ খান পিরোজপুর প্রেসক্লাবে আহুত এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন মিনতি রানী মণ্ডলের অভিযোগ সত্য নয়। তিনি ঐ ভূমি ক্রয় সূত্রে মালিক।

Comment here