ব্রেকিং নিউজ

মিষ্টিতে চেতনানাশক মিশিয়ে ভাগনিকে ধর্ষণের অভিযোগ

পিরোজপুরের নাজিরপুরে মিষ্টির সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে ভাগনিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পিরোজপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেছেন। আজ রোববার দুপুরে পিরোজপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মো. আসাদুল্লাহর আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত তা আমলে নিয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখাকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

অভিযুক্ত মামা মো. হায়দার (৬০) নাজিরপুর উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের কলারদোয়ানিয়া গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগীর স্বামী জাহাজের ইঞ্জিন মিস্ত্রি। তিনি ঢাকায় তাঁর কর্মস্থলে থাকেন। ভুক্তভোগী নারী তাঁর বাবার বাড়িতে আড়াই বছরের ছেলেকে নিয়ে বসবাস করেন। চলতি বছরের ১২ জুন আসামি হায়দার মিষ্টি নিয়ে তাঁর বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান। বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে মিষ্টিতে চেতনানাশক মিশিয়ে ভাগনিকে খাইয়ে অচেতন করেন।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, এরপর হায়দার একাধিকবার তাঁর ভাগনিকে ধর্ষণ করেন। রাতে ঘুম ভাঙার পর ভাগনি সব বুঝতে পারলে হায়দার সবকিছু মোবাইলে ভিডিও করা আছে বলে হুমকি দেন। ঘটনার পর মোবাইলে ধারণ করা ভিডিওর ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগীকে একাধিকবার কুপ্রস্তাব দেন হায়দার। ভুক্তভোগী হায়দারের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভিডিও ভাইরাল এবং মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু সালেহ ওমান বলেন, বাবার সমতুল্য আপন মামা হায়দার পরিকল্পিতভাবে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে অজ্ঞান করে ভুক্তভোগীকে রাতভর ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগী চিৎকার দিতে গেলে তাঁর সবকিছু ভিডিও করা আছে বলে হুমকি দেয়।

আইনজীবী বলেন, ধারণ করা ভিডিও ভাইরাল করে দেবে বলে একাধিকবার কুপ্রস্তাব ও হুমকি দিলে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে আজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানির পর আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত হায়দারের মোবাইলফোনে কল দেওয়া হলে বন্ধ পাওয়া যায়।

Comment here