মঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
গোটা দেশ মহামারী করোনার থাবায় থমকে গিয়ে প্রতিটি নাগরিকের রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে কোনভাবে খেয়ে না খেয়ে অনির্দিষ্ট কালের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন। চলমান পরিস্থিতিকে বিবেচনা করে বিভিন্ন এনজিও সংস্থা ঋণ গ্রাহকদের ৬ মাসের কিস্তি স্থগিত করেছেন। অথচ এ মুহুর্তে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ অনুমান ভিত্তিক ইচ্ছামত অংক বসিয়ে একসাথে দু’মাসের বিল কাগজ গ্রাহকদের ধরিয়ে দিচ্ছেন। যা এ মুহুর্তে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর কর্মহীন পরিবারগুলোর ঘাড় মটকানোর মতো বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একাধিক শ্রমজীবি মানুষ অভিযোগ করেছেন, আগের চেয়ে দ্বিগুণ বিদ্যুৎ বিল করা হয়েছে। যে ঘটনায় মঠবাড়িয়া উপজেলার অধিকাংশ গ্রাহকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ইয়াকুব ফরাজী বলেন, বর্তমান বিদ্যুৎ বিল কাগজে আমার ঘরের বিদ্যুৎ বিল দ্বিগুণ করা হয়েছে। বর্তমানে কামাই রোজগার না থাকায় এখন আমি কি দিয়ে এ বিল পরিশোধ করবো।
উত্তর মিঠখালীর আলি হায়দার বলেন, চলমান মাসে আমার আবাসিক বাড়ির বিদ্যুৎ বিল রিডিং না দেখে অতিরিক্ত চারশত টাকা ধরা হয়েছে, যা অন্য মাসের তুলনায় দ্বিগুণ। দক্ষিণ মিঠাখালীর রুহুল আমীন বলেন, অনুমান ভিত্তিক আমার বাসা-বাড়ির বিল অন্য মাসের তুলনায় দ্বিগুণ ধরা হয়েছে। যা চরম অনিয়মের শামিল।
সাংবাদিক দেবদাস মজুমদার বলেন, ঠবাড়িয়ার একজন বিদ্যুত গ্রাহকের মিটার ও বিল দেখেন। ১১/০৪/২০২০ তারিখে রিডিং দেখাইছে ১৭৮৫ আর আজ ২৯/০৪/২০২০ তারিখে রিডিং আছে মিটারে ১৭৬৫ । এখন প্রশ্ন ১৮ দিন আগে কি করে ১৭৮৫ এই রিডিং হয়? তিনি আরো বলেন, ০০১ থেকে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত ৪.১৯ টাকা প্রতি ইউনিট,৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত ৫.৭২ টাকা প্রতি ইউনিট। তারা প্রতি ইউনিটে ১.৫৩ টাকা বেশি নিচ্ছে গ্রাহকের কাছ থেকে। এটা প্রতারণার সামিল।
ডিজিএম খাইরুল আমিন (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, মহামারীর কারণে গ্রাহকরা রিডিং ম্যানকে কারো বাড়িতে প্রবেশ করতে দেয়নি, বিধায় অন্য মাসের বিলের সাথে তুলনা করে অনুমান ভিত্তিক বিল করা হয়েছে। কারো বিল অতিরিক্ত বেশি ধরা হলে তা অফিসে আসলে পুনরায় সংশোধন করা হবে।
Comment here