অনিয়ম ‍ও দুর্নীতিমঠবাড়িয়া

মঠবাড়িয়ার ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরে মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়া ইউনিয়নে জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকা জেলেদের মধ্যে ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও ইউনিয়নের তদারকি কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) উপজেলা পল্লি দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জনপ্রতি ১০ থেকে ১২ কেজি চাল কম দেওয়া হয়। এতে জেলেদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিক্ষুব্ধরা এ বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক অবহিত করা হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, এদিন সকালে শ্রমিকরা সরকারি ৫০ কেজি ওজনের বস্তা খুলে কোনোরকম ওজন করা ছাড়াই বালতি দিয়ে জেলেদের বস্তায় ভরে দিচ্ছেন চাল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বড়মাছুয়া ইউনিয়নে ৮৭৫ জেলের জনপ্রতি ৪০ কেজি করে এপ্রিল ও মে মাসে ৮০ কেজি চাল দেওয়ার জন্য ৭০ টন চাল সরকারি গোডাউন থেকে উত্তোলন করা হয়। কিন্তু সংশ্নিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান নাসির হোসেন হাওলাদার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও তদারকি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে প্রতি জেলেকে ১০-১২ কেজি কম দিয়ে বালতি দিয়ে মেপে বিতরণ করেন।
উত্তর বড়মাছুয়া গ্রামের মৃত মানিক আকনের ছেলে জেলে মো. সাইয়েদ আকনের চাল ওজন করে দেখা যায়, দু’মাসের ৮০ কেজির পরিবর্তে তাকে ৬৯ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। উত্তর বড়মাছুয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত রুহুল আমিনের ছেলে পাভেলের বস্তার চালে ৭০ কেজি চাল দেখা যায়।
জেলেরা অভিযোগ করেন, তাদের প্রত্যেককে নির্ধারিত ৮০ কেজি চালের পরিবর্তে ১০ থকে ১২ কেজি কম দেওয়া হয়েছে। তারা চেয়ারম্যানের কাছে জিম্মি। তাই প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না। ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য নজরুল ইসলাম টুকু বিভিন্ন খরচ নির্বাহের জন্য মৎস্য ও ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে ১০ কেজি করে চাল কম দেওয়া হয়েছে বলে স্বীকার করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান নাসির হোসেন হাওলাদার চাল পরিবহনে ঘাটতি, শ্রমিকদের মজুরি ও কার্ডবঞ্চিত হতদরিদ্র দুস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য চার কেজি করে চাল কম দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম তার উপস্থিতিতে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি কার্ডধারী জেলেদের ৮০ কেজি করে চাল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। চাল কম দেওয়ার বিষয়টি তার জানা নেই।

Comment here