পিরোজপুর সদর

পিরোজপুর গোপাল কৃষ্ণ স্বাধীনতা মঞ্চের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েও হলনা শেষ! কারণ কি?

সম্পাদকীয়ঃ
পিরোজপুর শহরের শত বছরের পুরানো সামাজিক প্রতিষ্ঠান গোপাল কৃষ্ণ টাউন ক্লাব স্বাধীনতা মঞ্চটির নির্মাণ কাজ এখনো শেষ করতে পারেনি ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
২০১৪ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর মুক্তদিবসে মঞ্চটির উদ্বোধন করেন মাননীয় মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শেখ এ্যানী রহমান এমপি।
কিন্তু এখনো এ মঞ্চের কাজ অনেক বাকি। দীর্ঘ পাঁচ বছরেও নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেনি। ফলে এখানে অনেক সরকারি অনুষ্ঠান সহ রাজনৈতিক সভা সমাবেশ করতে বেগ পেতে হচ্ছে।
ক্লাবের অনেক সদস্য এটির নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য অনুরোধ করলেও কর্তৃপক্ষ আমলে নিচ্ছেন না। বরং ক্লাবরে নতুন সংস্কারের কাজ শরু করে দিয়েছে। এমন অনেক কাজ রয়েছে যা অসামাপ্ত রয়েছে। কাজ যেটা শুরু করে তা শেষ করতে পারেনা। এ মতলববাজীর নেপথ্যে কি কারণ তা রহস্যবৃত। তবে অনেক সদস্য বলেছেন ঐতিহ্যবাহি এ প্রতিষ্ঠানটিকে দলীয়করণ করায় কমিটির সদস্যরা কোন কিছু আমলে নিচ্ছেন না।

স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারি আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়, এ দলেরই লোকজন টাউন ক্লাব পরিচালনা করছেন, অথচ, স্বাধীনতা মঞ্চটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করতে কেনো এতো তালবাহানা? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে অর্থের কোন সংকট নেই। তাহলে তারা কি ভিন্নমতের? মোটেই নয়। প্রশ্ন জাগে “তাহলে কেনো এসব গাফেলতি?”
অতি সম্প্রতি জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্য করি কমিটির প্রথম সভায় পৌর মেয়র জনাব হাবিবুর রহমান মালেক আক্ষেপ করে বলেছিলেন, অতীতে এ ক্লাব বিভিন্ন লীগ-টুর্নমেন্ট এ অংশ নিতো, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অবদান থাকতো, কিন্তু এখন তা নেই। আমরা তার সাথে একমত পোষণ করে বলবো, “ তাহারা আপনাদের হতাশ করিয়াছে”। তাছাড়া ক্লাবের কোন মূল সাইনবোর্ড নেই তারপর ক্লাবরে দোতলার উত্তর পাশে তৈরী হচ্ছে আলিসান কক্ষ। আমাদের প্রশ্ন,- যেখানে নেই একটি নির্ধারিত নামজের স্থান সেখানে এ আলিসান কক্ষ কার জন্য? কিসের জন্য? অধিকাংশ সদস্যরা (নাম না প্রখাশ করার শর্তে) ক্ষোভের সাথে বলেন,কমিটির লোকজন সর্বক্ষণ তোষামদে ব্যস্ত থাকেন। তাই এসব কাজ করার সময় কোথায় তাদের?
বর্তমানে চলছে একটি পুরানো আহবায়ক কমিটি দিয়ে। এরমধ্যে তিনজন সদস্য মারা যান। সাম্প্রতিককালে শুন্যস্থান পূরণের জন্য তিনজনকে কো-অপট্ করা হয়েছে। তা নিয়েও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কমিটির দু’একজন বলেন, তা নাকি মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এর নির্দেশে করা হয়েছে। যাইহোক, সেদিকে না গিয়ে বলবো একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় এসব তালবাহানার জন্ম দিয়েছে। দাবি উঠেছে নির্বাচনের। তখণ মাত্র দু’তিনজনের কথায় ক্লাব চলবেনা।

আমরা জানি, গোপাল কৃষ্ণ টাউন ক্লাব জনসম্পতি। কোন ব্যক্তি মহল, গোষ্ঠি, বা দলের নয়। এ নিয়ে অতীতে বহু লেখালেকি হয়েছে। আমারা চাইনা গোপাল কৃষ্ণ টাউন ক্লাব আবার সংবাদের শিরোনাম হোক।
আমরা এ ব্যাপারে মাননীয় মন্ত্রী জনাব শ ম রেজাউল করিম,মাননীয় এমপি শেখ এ্যানী রহমান, ক্লাব সভাপতি জেলা প্রশাসক এবং জনপ্রিয় নেতা পৌর মেয়র মোঃ হাবিবুর রহমান মালেক মহোদয় এর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তানা হলে এ নিয়ে আবার কোন আন্দোলন সংগ্রাম হলে তার দায়দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে। আপনরা নিশ্চ্যয়ই জানেন ন্যায্য দাবীর আন্দোলন সংগ্রাম কখনো বৃথা যায়না।

Comment here