নাজিরপুর

নাজিরপুরে প্রসবের সময় নবজাতকের মাথা বিচ্ছিন্ন করলো নার্স

ফিরোজ মাহমুদ :
পিরোজপুরের নাজিরপুরে প্রসূতি মায়ের নরমাল ডেলিভারীর সময় নবজাতকের দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছেন নার্স। আজ শনিবার ভোর রাত ৪টার দিকে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অসুস্থ ওই প্রসূতি মায়ের নাম আঁখি আক্তার (২০)। তিনি উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মধ্য কলারদোয়ানিয়া গ্রামের আসাদুজ্জামানের স্ত্রী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাথী মল্লিক ও অপু হালদার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত সিনিয়র স্টাফনার্স।
ওই দুই নার্স বা কর্তব্যরত চিকিৎসক এ ঘটনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো, ফজলে বারীকে না জানিয়ে গুরুতর ওই প্রসূতি মাকে পিরোজপুর জেলা শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেয়। তবে কাগজপত্রে লিখে রাখে রেফার টু খুলনা মেডিকেল।
পরে ওই ক্লিনিকে সিজারের মাধ্যমে নবজাতকের দেহ বের করা হলেও প্রসূতি মায়ের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন ওই ক্লিনিকে কর্মরত ডা. মতিন সরদার। ডা. মতিন সরদার আরো জানান এখনো ব্লিডিং বন্ধ হয়নি, যে কারণে ২৪ ঘন্টা না যাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না।
প্রসূতি আঁখি আক্তারের মা মানছুরা বেগম জানান, তার মেয়ে আঁখির এই প্রথম গর্ভধারণ করার মেয়েকে তিনি বেলুয়া মুগারঝোর গ্রামে নিজের কাছেই রেখে দেখা শুনা করেছেন। গত শুক্রবার রাতে বাচ্চা প্রসবের জন্য আঁখিকে নাজিরপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভোররাতে তার সামান্য প্রসব ব্যাথা উঠলেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স সাথি মল্লিক ও অপু হালদার সুন্দর ভাবে বাচ্চা প্রসব করে দিবে বলে ১০ হাজার টাকা দাবী করেন। এ সময় তিনি গরীব মানুষ দাবী করে টাকা নিয়ে দর কষাকষি হয়। এক পর্যায়ে তারা আঁখির নরমাল ডেলিভারী করতে গিয়ে নবজাতকের মাথা ছিড়ে নিয়ে আসে। বিষয়টি আমাদের না জানিয়ে গোপন করার চেষ্টা করে। এক পর্যায় আমরা বাচ্চা প্রসবের দেরী হওয়ার বিষয় জানতে চাইলে দেখি একটি পলিথিনে মোরানো নব জাতকের মাথা। পরে তারা আঁখিকে বাঁচাতে হলে দ্রুত পিরোজপুর ফেয়ার ক্লিনিকে ডা মতিন সরদারের কাছে নিয়ে যেতে বলে এবং তড়িগড়ি করে একটি এম্বুলেন্সে তুলে দেয়।
এ বিষয় জানতে অভিযুক্ত ওই ২ নার্সের ব্যাক্তিগত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা কেহই ফোন রিসিভ করেননি।
ঘটনার বিষয়ে জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলে বারীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, রোগীকে অন্যত্র পাঠানো পরে বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। তবে র্দুঘটনার পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক বা নার্স কেহই আমাকে বিষয়টি অবগত করেনি। এখন রোগীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Comment here