জাতীয়

দ্বৈরথে ঢাকা জয়

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের ভোটগ্রহন শেষ হয়েছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
সর্বশেষ প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী- ঢাকা উত্তর সিটি: কেন্দ্র ১৩১৮, প্রাপ্ত ৭৩৯ / আতিকুল ইসলাম ২,৩৫,২৩৪ / তাবিথ আউয়াল ১,৪৬,৩৫৫। ঢাকা দক্ষিণ সিটি: কেন্দ্র ১১৫০, প্রাপ্ত ৯৭৯ / শেখ ফজলে নূর তাপস ৩,৬৫,০৩২ / ইশরাক হোসেন ১,৯৭,৭৭৫।
এবারই প্রথম ঢাকার দুই সিটিতে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে ভোট হচ্ছে। এত বেশি ভোটারের ভোট আর কখনও ইভিএমে নেওয়া হয়নি। ফলে অধিকাংশের জন্যই এ পদ্ধতি নতুন। ইভিএম নিয়ে রাজনীতির অঙ্গনে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য থাকলেও নির্বাচন কমিশন বলছে, যন্ত্রে ভোট সুষ্ঠুই হবে।

উত্তর সিটিতে মোট ভোটার ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন। আর দক্ষিণে এই সংখ্যা ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪। উত্তর সিটিতে ১ হাজার ৩১৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ৮৭৬টি। দক্ষিণে ১ হাজার ১৫০টি কেন্দ্রের ৭৫১টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখছে নির্বাচন কমিশন।

দুই সিটিতে ভোটকেন্দ্র দুই হাজার ৪৬৮টি। ভোটকক্ষ ১৪ হাজার ৪৩৪টি। ঢাকা উত্তর সিটিতে এক হাজার ৩১৮টি ভোটকেন্দ্র ও সাত হাজার ৮৫৭টি ভোটকক্ষ এবং দক্ষিণ সিটিতে এক হাজার ১৫০টি ভোটকেন্দ্র ও ছয় হাজার ৫৮৮টি ভোটকক্ষ। অন্যদিকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে তার প্রতিবাদে রোববার ঢাকায় হরতাল ডেকেছে বিএনপি। শনিবার ভোট শেষে রাতে ফল ঘোষণার মধ্যে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।

রাত ৮টার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যখন এই সংবাদ সম্মেলন করেন, সে সময় দুই সিটিতেই ভোটের ফলে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীরা এগিয়ে ছিলেন।

নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, “ঢাকা সিটি করপোরেশনের উত্তর ও দক্ষিণে নির্বাচনের ফলাফলকে আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। দুই সিটির নির্বাচনে ভয়াবহ রকমের কারচুপি, জালিয়াতি, জবরদস্তি করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কারণে এবং জনগণের রায়কে একেবারে পদদলিত করে এই নির্বাচনকে প্রভাবিত ও লুট করে ফলাফল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। “এর প্রতিবাদে আমরা আগামীকাল (রোববার) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা শহরে হরতাল আহ্বান করছি। আমরা আশা করব, ঢাকাবাসী তাদের অধিকার রক্ষার জন্য শান্তিপূর্ণভাবে এই হরতাল পালন করবে এবং গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য সহযোগিতা করবেন।” অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি, ওষুধ ও খাবারের দোকান হরতালের আওতামুক্ত থাকবে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।

বিএনপি হরতালের ডাক দেওয়ার পর বনানীতে মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের নির্বাচনী কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, “উত্তর ও দক্ষিণে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরাও নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ উত্থাপন করে নাই। বিএনপি শুধু পরাজয়ের আশঙ্কায় যখন নিশ্চিত পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে সে সময় তড়িঘড়ি করে এই হরতাল ডেকে বিএনপি আসলে তাদের রাজনৈতিক দীনতা প্রমাণ করেছে।”

Comment here