মঠবাড়িয়া

দখল দূষণে অস্তিত্ব সংকটে মঠবাড়িয়া শহরের চার খাল!

ঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
মঠবাড়িয়া পৌরসভার প্রবাহমান চারটি খাল প্রভাবশালীদের দখলে সংকুচিত হয়ে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। প্রভাবশালী দখলদার ও অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রভাব বিস্তার করে খালগুলোর উভয় পাশ দখল করে বাসাবাড়িসহ নানারকম পাকা স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রাখছে। সেই সঙ্গে দুই তীর সংশ্লিষ্ট জনবসতির ময়লা, পৌরশহরের বর্জ্যসহ অসংখ্য বাসাবাড়ির শৌচাগারের পাইপসংযোগ থাকায় খালের পানি মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মঠবাড়িয়া প্রথম শ্রেণির পৌরসভার চারটি শাখা খালের মোহনা স্থল। শহরের দক্ষিণ বন্দর এলাকায় খালের চৌ মোহনা। মঠবাড়িয়া-আন্ধারমানিক খালের ১ কিলোমিটার, মঠবাড়িয়া-বহেরাতলা খালের ১ কিলোমিটার, মঠবাড়িয়া-মাছুয়া খালের দেড় কিলোমিটার ও মঠবাড়িয়া-গুলিসাখালী খালের ২ কিলোমিটার এলাকার দুই তীর জুড়ে দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন প্রভাবশালীরা। শহরের দক্ষিণ বন্দর ব্রিজ সংলগ্ন চৌমোহনা খালের চার পাশ জুড়ে দখলদাররা নির্বিঘ্নে খালের ভেতর পাকা স্থাপনা গড়ে তুলে মোহনা সংকুচিত করে ফেলেছেন। ওই মোহনার প্রধান খালে কয়েক বছর আগে পাউবো একটি সংকুচিত স্লুইসগেট নির্মাণ করে। এছাড়া ওই একই খালের থানাপাড়া এলাকার টিকিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের কাছে ১৫ বছর আগে একটি বাঁধ দিলে মঠবাড়িয়া-গুলিসাখালী খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। শহরের মুচিপাড়া এলাকার প্রবাহমান খালের মাঝখানে অপরিকল্পিত কালভার্ট ও দক্ষিণ বন্দর সংকুচিত স্লুইসগেট নির্মাণের সুযোগে শহরের চারটি খাল মরা খালে পরিণত হয়েছে। এ সুযোগে প্রভাবশালীরা চারটি খালের দুই তীর দখলের প্রতিযোগিতায় নামে।
স্থানীয় মনির আকন্দ, রিয়াজউদ্দিন, মহিউদ্দিনসহ অনেকে জানান, সরকারিভাবে খালগুলোর দুই তীরে সীমানা পিলার না থাকার সুযোগে খাল খেকোরা দখলের প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ কারণে এই খাল চারটি বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।
মঠবাড়িয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুস সালেক বলেন, অবৈধ স্থাপনা যখন যেখানে সামনে পড়ে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ব্যবস্থা নিই। শহরের মধ্যের খালগুলো দূষণমুক্ত করতে দ্রুত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
পিরোজপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী রেবেকা খান বলেন, সরকারিভাবে খালের দুই তীরে সীমানা পিলার না থাকায় খাল দখলের ঘটনা ঘটছে। জেলা পরিষদের আওতাভুক্ত খালে অবৈধ স্থাপনার তালিকা করে উচ্ছেদের প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।
মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি এম সরফরাজ বলেন, দখল দূষণে অস্তিত্ব সংকটে থাকা খালগুলোর মধ্যে মঠবাড়িয়া পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রের তিনটি প্রবাহমান খাল উদ্ধার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন ও বরাদ্দ পেলেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালানো হবে।

Comment here