অপরাধব্রেকিং নিউজ

খিলগাঁওয়ে গৃহবধূ পিরোজপুরের মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামী-শাশুড়ি গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্কঃ
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে নাসরিন আক্তার বৃষ্টি নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত নাসরিন পিরোজপুর জেলার সদর থানার উত্তর ভাইজোড়া গ্রামের মশিউর রহমানের মেয়ে। রাজধানীর খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া মধ্যপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে স্বামীর সঙ্গে থাকতেন তিনি।

নাসরিনের বাবা মশিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল চারটার দিকে নাসরিন ফোন করে তাকে বাড়ি নিয়ে যেতে বলেন। অসাবধানতাবশত মাটির ঢাকনা ভেঙে ফেলায় তার শাশুড়ি তাকে অনেক গালাগাল করেন। এরপর রাত আটটার দিকে ফোন করে মেয়ের মৃত্যুর খবর পান তিনি। শুক্রবার ফজরের নামাজের সময় ঢাকা মেডিকেলের মর্গে গিয়ে মেয়ের লাশ দেখতে পান মশিউর রহমান।

নাসরিনের বাবা আরও বলেন, করোনা শুরু হওয়ার আগে নুরুজ্জামানের সঙ্গে বৃষ্টি বিয়ে হয়। ওরা একে অপরকে পছন্দ করত। করোনা শুরু হওয়ায় আমরা গ্রামের বাড়ি চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। তখন দ্রুতই ওদের বিয়ে দেই। নুরুজ্জামান পড়াশোনা করত পাশাপাশি টিউশনিও করত। এভাবেই ভালোই চলছিল ওদের দিন। বিয়ের সময় নুরুজ্জামানকে দেড় লাখ টাকা দেন মশিউর। কিন্তু নুরুজ্জামানের পরিবারও আরও দুই লাখ টাকা দাবি করে আসছিল। ওই টাকা দিতে না পারায় তারা প্রায়ই নাসরিনকে নির্যাতন করত। বৃহস্পতিবার বিকালে ঝগড়ার একপর্যায়ে তারা নাসরিনকে গলায় কোন কিছু পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। নাসরিনের মৃত্যুর পর নুরুজ্জামান ও তার মা কমলা বেগম পালিয়ে যেতে চাইলে এলাকাবাসী তাদের আটক করে পুলিশে দেয়।

খিলগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুকুল আলম বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী নুরুজ্জামান এবং শাশুড়ি কমলা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

খিলগাঁও থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক আয়েশা ই নুর কনক ঢাকাটাইমসকে বলেন, শুক্রবার সকালে নাসরিনের বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় নিহতের স্বামী নুরুজ্জামান ও শাশুড়ি কমলা বেগমকে আসামি করা হয়েছে।

Comment here