জাতীয়

‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্কঃ  ঢাকা- কুড়িগ্রাম-ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে নতুন আন্তঃনগর ট্রেন ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী সবুজ পতাকা নেড়ে ও বাঁশিতে হুঁইসেল দিয়ে নতুন ট্রেনটির উদ্বোধন করেন। আর এর মধ্য দিয়ে ঢাকার সঙ্গে যুক্ত হলো ৩৫তম আন্তঃনগর ট্রেন। এছাড়া রংপুর আর লালমনি এক্সপ্রেসেও ইন্দোনেশিয়ার তৈরি লাল-সবুজের নতুন কোচ যুক্ত হয়েছে।

উদ্বোধনের পর বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) থেকে ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ আন্তঃনগর ট্রেনের বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু হবে। নতুন এ আন্তঃনগর ট্রেন উদ্বোধনের খবরে জেলাজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।

রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, বুধবার ট্রেনটির সাপ্তাহিক ছুটি। এদিন ছাড়া সপ্তাহের বাকি ৬ দিন সকাল ৭টা ২০ মিনিটে কুড়িগ্রাম রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ট্রেনটির। আর ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে ছাড়বে। যা সকাল ৬টা ২০ মিনিটে কুড়িগ্রাম স্টেশনে পৌঁছাবে।

১৪টি বগি নিয়ে যাতায়াতের সময় ট্রেনটি রংপুর-বদরগঞ্জ-পার্বতীপুর-জয়পুরহাট-সান্তাহার-নাটোর-মাধনগর-টাঙ্গাইল-মৌচাক-বিমানবন্দরে যাত্রী ওঠা-নামা করবে।
‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ আন্তঃনগর ট্রেনটি প্রতিদিন ঢাকা-কুড়িগ্রামের ২৮৬ দশমিক ৮ মাইল বা ৪৬১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবে। কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকা যাত্রায় মোট ৬৫৭টি আসন সুবিধা এবং ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম যাত্রায় ৬৩৮টি আসন সুবিধা থাকবে।

শোভন চেয়ার ৫১০ টাকা, এসি চেয়ার ৯৭২ টাকা, এসি সিট ১ হাজার ১৬৮ টাকা এবং এসি বাথ ১ হাজার ৮০৪ টাকা আসন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।

পরে প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রাম, রংপুর রেল স্টেশনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে উপকারভোগীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

উদ্বোধনের আগে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কুড়িগ্রামকে আমি মজা করে বলতাম কুইড়্যা গ্রাম। এখন আর কুইড়্যা গ্রাম নেই। অনেক উন্নত হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘মানুষের যোগাযোগের সাথে সাথে অর্থনৈতিক উন্নতিটা হোক। আর যেন উত্তরবঙ্গবাসীকে মঙ্গা শব্দটা শুনতে না হয়।’

বক্তব্য শেষ করে বাঁশি ফুঁকে ও সবুজ পতাকা উড়িয়ে নতুন ট্রেনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে রংপুর ও লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের রেকে নতুন কোচ প্রতিস্থাপন করেন শেখ হাসিনা।

Comment here