ব্রেকিং নিউজ

করোনাভাইরাস : পুলিশ হাসপাতালে হোমিও ওষুধও নিচ্ছেন অনেকে>>>একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবর

অনলাইন ডেস্কঃ
“করোনাভাইরাস : পুলিশ হাসপাতালে হোমিও ওষুধও নিচ্ছেন অনেকে”-বিবিসির বরাত দিয়ে জাতীয় পত্রিকা ‘দৈনিক নয়া দিগন্তে’ এ শিরোনামের খবরটি প্রকাশ হওয়ায় অনেকে কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে। আবার অনেকে বলেছেন, হেমিও চিকিৎসা ভূয়া নয়। কেই বলেছেন বিবিসির খবরতো আজগুবি হতে পারেনা। খবরটি পড়ে সত্য-মিথ্যার দোলনায় দুলছে অনেকেই। মোদ্দাকথা, হেমিও চিকিৎসায় করনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় খবরে রিতিমত হৈচৈ ফেলে দিয়েছে।
‘দৈনিক নয়া দিগন্তে’ গতকাল ৩ জুন প্রথম পতার প্রথমত কালামে প্রকাশিত খবরটি হুবুহ তুলে ধরা হলো-
বিবিসি-০২ জুন ২০২০।“করোনাভাইরাস : পুলিশ হাসপাতালে হোমিও ওষুধও নিচ্ছেন অনেকে”
বাংলাদেশ পুলিশের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল থেকে পাওয়া হিসাব অনুযায়ী, ১ জুন পর্যন্ত দুই হাজার ৫৯ জন পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাস মুক্ত হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বলছে, এ পর্যন্ত ৫,৩৩৩ পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিভিন্ন পর্যায়ের ১৬ জন পুলিশ সদস্য।
ঢাকায় পুলিশের কেন্দ্রীয় হাসপাতালে শুরু থেকেই আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার পাশাপাশি আলাদা করে একটি বেসরকারি হাসপাতাল ভাড়া করা হয়েছে পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য। তবে কেন্দ্রীয় হাসপাতালে করোনা রোগী এবং ওই কম্পাউন্ডে বসবাসকারী পুলিশ সদস্যদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অনেকেই নিয়মিত চিকিৎসার বাইরে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায়। এজন্য একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক অনানুষ্ঠানিকভাবে জড়িত হয়েছেন হাসপাতালটির সাথে এবং হাসপাতালের আউটডোরেই ডিসপেনসারি দেয়া হয়েছে তার।
যদিও হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম শান্ত বলছেন, পুলিশ হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রটোকল ও গাইডলাইন অনুসরণ করছেন।
হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার সাহেব নন কোভিড জোনে বসছেন। কোভিড-১৯ রোগীদের কাছে তার যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই করোনায় আক্রান্তরা তার ওষুধে কেউ সেরে উঠেছেন এটা বলা যাবে না। আর কেউ যদি নিজ উদ্যোগে তার ওষুধ নিয়েও থাকেন তাহলে তাতে তিনি কী ফল পেয়েছেন তাও আমরা জানি না।
আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এমন বক্তব্য এলেও পুলিশ হাসপাতালেরই কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা গেছে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ বিভিন্নভাবে রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী তাদের কাছে পাঠানো হচ্ছে।
রোগীদের অনেকেই নিয়মিত অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসার পাশাপাশি হোমিওপ্যাথি ওষুধ নিচ্ছেন। এ ছাড়া সেখানকার পুলিশ সদস্যদের পরিবারগুলোতেও এ ওষুধের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে, ‘বলছিলেন একজন কর্মকর্তা।’
আর হোমিও চিকিৎসক রাশিদুল হক বিবিসি বাংলাকে বলছেন, তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনে গত ১৬ মে থেকে পুলিশ হাসপাতালের সাথে জড়িত হয়েছেন। তিনি করোনার কোনো চিকিৎসা করছেন না, তবে প্রতিরোধমূলক ওষুধ দিচ্ছেন, যা তিনি মনে করছেন কার্যকর হচ্ছে। তিনি বলেন, আমি এক হাজারের বেশি পুলিশ সদস্যকে প্রতিরোধমূলক ওষুধ দিয়েছি। তাদের কেউ এখনো করোনা পজিটিভ হননি। আর ৫০ জন কোভিড-১৯ রোগীকে ওষুধ দিয়েছি যা সেবন করে এসব রোগী তুলনামূলক দ্রুততম সময়ে সুস্থ হয়েছেন। তার দাবি- তিনি যে ওষুধ দিচ্ছেন তা প্রতিরোধমূলক এবং এটি নিয়ম মতো সেবন করলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি সৃষ্টি হয়।
ইতোমধ্যেই পুলিশ হাসপাতাল ছাড়াও স্বরাষ্ট্রসহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়েও তিনি চাহিদা পেয়ে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সরবরাহের দাবি করেছেন। তিনি বলেন, করোনার কোনো নির্ধারিত চিকিৎসা নেই। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী বাংলাদেশে এর চিকিৎসা হচ্ছে এবং অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন।
হোমিওপ্যাথিক ওষুধ রোগীরা প্রচলিত অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসার পাশাপাশি নিতে পারছেন এবং এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। যারা আগ্রহী হন তাদেরকেই আমি ওষুধ দিচ্ছি এবং অনেকেই জানিয়েছেন তারা উপকার পেয়েছেন।
রাশিদুল হকের মতে করোনার যেসব লক্ষণ অর্থাৎ জ্বর, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, কাশিÑ এসবের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই বেশ জনপ্রিয়। এখন করোনায় আক্রান্তদের ক্ষেত্রেও এসব উপসর্গের যেটি বেশি সেটিকে ধরে আমরা ওষুধ দিচ্ছি। তাতে অনেকে উপকার পাচ্ছেন। আর যারা আক্রান্ত হননি তাদের জন্য প্রতিরোধমূলক পথ্য দেয়া হচ্ছে।
রাশিদুল হক বলেন, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় খরচ খুবই কম হওয়ায় রোগীরা সহজেই তা নিতে পারছেন।

Comment here