বিশেষ প্রতিবেদন

একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কিভাবে বিপদকালীন সময়ে মানুষের পাশে দাড়াতে হয় তার বাস্তব উদাহরণ

বিশেষ প্রতিবেদকঃ
পিরোজপুরের কাউখালি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ খালেদা খাতুন রেখা প্রত্যন্ত এলাকার ‘ইয়াস’ ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। হাটু পর্যন্ত পানি উপেক্ষা করে তিনি এভাবেই ছুটে বেড়াচ্ছেন গ্রাম থেকে গ্রামন্তরে। গত দুই দিন থেকে ঘূর্ণিজর ইয়াজের, বন্যার পানিতে প্রল্লাবিত কাউখালি উপজেলা বিভিন্ন এলাক ঠিক তখন ই বন্যা কবলিত পরিবারের পাশে স্ব শরিরে খাদ্য সামগ্রি নিয়ে দাড়ান কাউখালি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা খাতুন রেখা। তার এ মানবিক প্রয়াস প্রশংসা কুড়িয়েছেন সর্বত্র।

কাউখালীর ইএনও খালেদা খাতুন রেখা বলেন সকলের প্রচেষ্টা ভালো থাকুক মানবতা। প্রতিটি দূর্যোগ এক একটা ইতিহাস, পান্ডুলিপি। বিপদে মানুষ থাকুক একে অন্যের পাশাপাশি। তিনি আরো বলেন প্রতিটি ঘটনা এক একটা মহাগ্রন্থ। এক জীবনে পাঠ করে শেষ করা যায় না। তবুও নিরন্তর প্রচেষ্টা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলের সহায় হোন। ঘূর্নিঝড় ইয়াসে আমাদের সকলের কার্যক্রম।

কাউখালী উপজেলার ঘূর্নিঝড় ইয়াস” মোকাবেলায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে পৌছিয়ে দেওয়া, আশ্রয়কেন্দ্র ও ফেলে আসা বাড়ি ঘরে নিরাপত্তা প্রদানে পরামর্শ, ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে সচেতনতা লক্ষে উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে আজ মাইকিং এর মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করা সহ যা সাধ্য তা খালেদা খাতুন রেখা করেছেন।

খালেদা খাতুন রেখা অদম্য মনোবল নিয়ে দৃঢ়তার সাথে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ছুঁটে বেড়িয়েছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। একই সাথে ন্যায়-নিষ্ঠা ও সততার মাধ্যমে অসহায়, হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। করোনায় আতঙ্কিত মানুষকে সচেতন করা, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা, বাজার মূল্য স্থিতিশীল রাখাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অসহায়, হতদরিদ্র ও নিন্ম আয়ের মানুষদের খোঁজ নিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তাঁর এ কর্মদক্ষতার কারণে গোটা কাউখালি উপজেলাতে মানবতাবাদের এক জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে উঠেছেন। প্রশাসনিক দক্ষতা, সহনশীল মানবিকতা আর সদাহাস্য আচরণ তাঁর কর্মগুণকে প্রশংসিত করেছে কাউখালি জনপদে। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমেও প্রশংসায় ভাসছেন তিনি, প্রতিনিয়ত বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখা যায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকরের নির্দেশনা মোতাবেক জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে উপজেলার জনগণকে সচেতন ও হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ছুটে চলছেন এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। আইনের কোন ব্যত্যয় ঘটলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে বিধি অনুযায়ী আইন অমান্যকারীকে করছেন জরিমানা অথবা দিচ্ছেন সাজা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণকে পুঁজি করে যখন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দ্রব্যমূল্যের বাজার অস্থিতিশীল করেছে, তখন বাজার নজরদারি করে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা মাধ্যমে অসাধু ব্যবসায়ীকে করছেন জরিমানা। পাশাপাশি বাজারে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে দিয়েছেন কঠোর নির্দেশনা!

বরিশালের সাংবাদিক মামুনুর রশীদ নোমানী এক মন্তব্যে বলেন, যখন অনেক জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারা মোবাইলে আর টেলিফোনে ইয়াসের প্রভাবে করনীয় বিষয় পর্যবেক্ষন করছেন তখন কাউখালীর ইউ এন ও পানি ও কাদা ভেঙ্গে মানু্ষের হাতে খাবার পৌছে দিচ্ছেন। পানি বেড়ে যাওয়ায় মানুষের রান্না করার উনুন বা চুলায় পানি উঠেছে। রান্না বন্ধ। সে সব বিষয় উপলব্ধি করে মানুষের হাতে হাতে খাবার পৌছে দিচ্ছেন। করোনাকালীন সময় তিনি ভয়কে জয় করে মানুষের পাশে এসে দাড়িয়েছেন যা প্রশংসার দাবী রাখে। সেলুট জানাই হে কর্মবীর ইউএনও কে। বিভাগীয় শহর বরিশালে থাকার কারনে অনেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদের কর্মকান্ড ওয়াকিবহাল। কাউখালীর ইউএনওর মত সবাই যদি হত তাহলে আমরা অনেক এগিয়ে যেতাম। এছাড়া কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উদ্ভাবনী কর্মকান্ড প্রশংসা কুড়িয়েছে দেশ -বিদেশে। সবচেয়ে করোনাকালীন সময়ে ভ্রাম্যমান বাজার।জনগনকে সচেতন করছেন। ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য প্রচেষ্টা করে যাচ্ছেন।
অনেকেই মনে করেন খালেদা খাতুন রেখার কাছ থেকে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি আমলা,কর্মচারীদের অনেক কিছু শেখার আছে।

Comment here