কাউখালী

ইউএনওর ভ্রাম্যমাণ বাজার যাচ্ছে গৃহস্থের বাড়ি বাড়ি

বিশেষ প্রতিবেদকঃ
পিরোজপুরের কাউখালীতে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় মানুষকে ঘরে অবস্থান ও বাজারমুখী জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা খাতুন রেখা ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী গৃহস্থের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তিনি চালু করেছেন ভ্রাম্যমাণ বাজার। আজ শুক্রবার থেকে দুটি ট্রাকে এ ভ্রাম্যমাণ বাজার চালু করা হয়েছে। একটি ট্রাকে চাল, ডালসহ নিত্য-ব্যবহার্য পণ্য আর অন্যটিতে তরকারির ভ্রাম্যমাণ বাজার গৃহস্থের দোরগোড়ায় সুলভমূল্যে পৌঁছে দিচ্ছে এ ভ্রাম্যমাণ গাড়ি।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, চলমান সংকটে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা নানা মানুষের কাছে সহায়তা চান ইউএনও। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী, নানা সামাজিক সংগঠন, মানবিক মানুষ সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসেন। এভাবেই ইউএনও চালু করেন ভ্রাম্যমাণ বাজার। ট্রাকভর্তি চাল, ডাল, চিনি, গুড়া দুধ, পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ নানা নিত্য-ব্যবহার্য মসলাদির বাজার আর সেই সাথে অন্য একটি ট্রাকে দৈনন্দিন মানুষের কাঁচাবাজারের পসরা। যান্ত্রিক বাহনে এ ভ্রাম্যমাণ বাজার ছুটছে এখন গৃহস্থ বাড়ির দোরগোড়ায়। সুলভমূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে এসব পণ্য। বিক্রয়কৃত অর্থ দিয়ে আবার ক্রয় করা হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। করোনা-সংকটকালে কাউখালী ইউএনওর এমন ভ্রাম্যামাণ বাজার স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আর এ কাজে সহায়তা করছে কাউখালী বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি।
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা খাতুন রেখা বলেন, স্থানীয় নানা সামাজিক সংগঠন, ব্যবসায়ী ও মানবিক ব্যক্তিরা আমাকে সহায়তা করে চলেছেন। করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় মানুষকে নিরাপদে ঘরে থাকা জরুরা। তারা বাজারমুখী হয়ে জনসমাগম সৃষ্টি করলে সংকট মোকাবেলা কঠিন হবে। তাই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ভ্রাম্যমাণ বাজার চালু করা হয়েছে। মানুষ সাড়া দিচ্ছে। আমরা ভ্রাম্যমাণ বাজার ব্যবস্থাপনার পরিসর আরো বাড়ানোর চেষ্টা করছি যাতে মানুষ ঘরে বসে নিত্য বাজার-সেবা পান।

Comment here