এক হাজার ১০১ কোটি টাকা ব্যয়ে গরমিলের প্রমাণ পাওয়ায় পিরোজপুর জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের চার কর্মকর্তা ও এলজিইডি অফিসের এক কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগের দিন তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির দায়ের দুদক কার্যালয়ে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। দুদকের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলামের আবেদনের প্রেক্ষিতে আসামিদের বুধবার রাতে পিরোজপুর সদর থানা হেফাজতে রাখা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— পিরোজপুর জেলা অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসার মো. মোহাসীন, এসএএস সুপার মো. মাসুম হাওলাদার ও নজরুল ইসলাম, সাবেক জেলা অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসার মো. আলমগীর হাসান এবং পিরোজপুর এলজিইডি অফিসের হিসাবরক্ষক একেএম মোজাম্মেল হক খান।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ের কয়েকটি তদন্ত টিম পিরোজপুর এলজিইডি অফিসে সীমাহীন দুর্নীতির প্রমাণ পায়। কাজ শেষ না করেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে হাজার কোটি টাকার বেশি বিল পরিশোধ করাসহ এক হাজার ১০১ কোটি টাকা ব্যয়ের গরমিল পায় তদন্ত কমিটি। পরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক দুর্নীতির দায়ে ২৩ জনকে অভিযুক্ত করে ৮টি মামলা দায়ের করেন। তাদের মধ্য থেকে গতকাল বুধবার রাতে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত পিরোজপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, “পিরোজপুর এলজিইডি অফিস ও জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে সীমাহীন দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। এসব দুর্নীতির অভিযোগে ২৩ জনকে অভিযুক্ত করে ৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদের মধ্য থেকে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
Comment here